একটি জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। একজন দলিলের ভিত্তিতে জমির মালিকানা দাবি করছেন, অন্যজন দাবি করছেন যে রেকর্ডমতে জমিটি তার নামে রয়েছে। তাহলে প্রকৃত মালিক কে—দলিল যার নামে, নাকি রেকর্ড যার নামে?
এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী সাবের চৌধুরী বলেন, “জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণে দলিল এবং রেকর্ড—উভয়ের গুরুত্ব রয়েছে। তবে দলিলের ভিত্তিতে মালিকানা অধিকতর গ্রহণযোগ্য। শুধু রেকর্ড থাকার কারণে কেউ জমির একচ্ছত্র মালিক দাবি করতে পারেন না।”
তিনি জানান, “ধরা যাক, একটি জমির আগের মালিকের নামে সিএস, এসএ এবং আরএস রেকর্ড ছিল। সেই মালিকের কাছ থেকেই এক ব্যক্তি ২০ বছর আগে দলিলের মাধ্যমে জমি কিনেছেন। পরে তিনি হয়তো বিদেশে চলে গেছেন বা জমির তদারকি করতে পারেননি। তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির মালিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএস জরিপে জমিটি নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন।”
আইনজীবী আরও বলেন, “এই প্রেক্ষাপটে রেকর্ড যার নামে হয়েছে, তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমির মালিক হয়ে যান না। বরং দলিল রয়েছে যিনি কিনেছেন, সেই ব্যক্তি মালিক হিসেবে অধিক স্বীকৃত।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “দলিলের চেয়ে রেকর্ড কখনোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। রেকর্ড কেবল সরকারি ব্যবস্থাপনায় নাম অন্তর্ভুক্তির একটি প্রক্রিয়া, যা ভুলও হতে পারে। কিন্তু দলিল হলো বিক্রয় চুক্তির বৈধ প্রমাণ।”
সুতরাং, জমির মালিকানা নির্ধারণে দলিলের ভিত্তি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য। যিনি দলিলের মাধ্যমে জমি ক্রয় করেছেন, তিনিই আইনের চোখে প্রকৃত মালিক—যদিও রেকর্ড অন্য কারও নামে হয়ে থাকুক। উৎস: জনকণ্ঠ।