শিরোনাম
◈ ডা: জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমানের নামে কখনোই কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল না, এখনো নেই : রিজভী  ◈ রেমিট্যান্সে রেকর্ড গতি: ঈদের আগেই এলো ৬০ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক ভিসায় নতুন চাপ: দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্টে মোটা অঙ্কের ফি প্রস্তাব ◈ কবে খুলবে নগর ভবনের তালা, যা জানালেন ডিএসসিসি প্রশাসক ◈ জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা ◈ কোরবানির হাটে স্বস্তি, লাখে ২০-৩০ হাজার টাকা কম দামে গরু বিক্রি ◈ পর্তুগাল‌কে ফাইনা‌লে তুল‌লেন রোনালদো, জার্মা‌নির স্বপ্নভঙ্গ ◈ যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফর, লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে কি? ◈ মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি, ক্রেতার তুলনায় বিক্রি কম! ◈ আকাশপথে বাণিজ্যে নবযুগ: সিলেট-কক্সবাজারে ফ্রেইটার চালু, তিনগুণ বাড়ছে কার্গো সক্ষমতা

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৫, ০৯:০১ রাত
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, ধরা কঠিন: সালেহউদ্দিন আহমেদ

যারা টাকা পাচার করেন তাদের অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ না। পাচারের টাকা পেলে বাজেট সাপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যেতে হতো না। পাচারের টাকা ফেরত আনতে সময় লাগবে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর লাগতে পারে, সেই প্রসেস শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে সঙ্গে নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন অর্থ উপদেষ্টা।

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে আনা বিষয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ হচ্ছে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ কিন্তু না। যারা টাকা পাচার করে তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক, লেয়ারিং করে করে টাকা পাচার করে। এমন না যে ধপ করে টাকা পাঠিয়ে দিলাম। আপনি কোথায় টাকা পাঠাবেন সেটা সরাসরি না, ঘুরে ঘুরে টাকা যায়।

‘এগুলো ট্রেস করা হচ্ছে। সময় লাগবে তবুও প্রোগ্রেস হচ্ছে। নাইজেরিয়াতে ২০ বছর লেগেছে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর তো লাগতে পারে সেই প্রসেস শুরু হয়েছে। এটা সত্য পাচার হওয়া কালো টাকা পেলে আমার বাজেট সাপোর্ট কম লাগতো। আইএমএফের কাছে আর যেতে হতো না। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা পারিনি’ বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন কালো টাকা সাদা করে দেওয়া ঢালাওভাবে। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা কালো টাকা না।

তিনি আরও বলেন, কালো টাকা সাদা করার দুটি দিক আছে একটা হলো নৈতিক দিক আরেকটা হলো প্রাকটিক্যাল দিক, আমরা ট্যাক্স পাবো কি না। দুই দিকে যাতে কালো টাকাটা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখবো। আমরা বলছি, না কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করে ফেলেছি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজেটে বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপ একেবারে নেই তা কিন্তু না। বাজেটে নারীদের জন্য ফান্ড আছে, স্ট্যার্টআপের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে, যুবকদের জন্য টাকা দিচ্ছি। বাকি অনেক খাতের জন্যও আছে। তবে একেবারে বৈষম্যবিরোধী, কর্মসংস্থানের জন্য নেই সেটা কিন্তু না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছুর ট্যারিফ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট গত বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন খুব বেশি কঠিন না। বাজেট ৬ মাসের জন্য না, তিন মাস বা ছয় মাসে বাজেট করা যায় না। বাজেট করতে হয় এক বছরের জন্য মুদ্রানীতি করতে পারে ৬ মাসে। কিন্তু আমরা বাজেট ৯ মাস ৬ মাসে করতে পারবো না।

ফুটপ্রিন্টে নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কি ফুটপ্রিন্ট দিয়ে যাচ্ছি, আমরা যে ভালো কাজটা করে যাচ্ছি সেটা পরবর্তী সরকার যদি কন্টিনিউ করে। যদি সেটা না করে তাহলে আপনারা তাদের প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা যদি খারাপ কাজ করে থাকি তাহলে বলতে পারে, এটা ভালো না বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু আমরা সে ধরনের কাজ করছি না।

এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার জন্য আগের মতো কোনো বিশেষ সুযোগ নেই। তবে দুটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এর একটি হলো— কেউ নিজের জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে যদি বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে দ্বিগুণ কর দিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।

দ্বিতীয় সুযোগটি হলো— ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আমরা কর পাঁচগুণ করে দিয়েছি। এটা খুব ব্যয়বহুল হয়েছে। তারপরও অনেকেই যেহেতু এটা নিয়ে কথা বলতেছে, আমার মনে হয় স্যার (অর্থ উপদেষ্টা) সবাই আলোচনা করে চিন্তা করতে পারেন কি করবেন। উৎস: জাগোনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়