শিরোনাম
◈ নগদ কেলেঙ্কারি ও সাবেক পিএ: মুখ খুললেন সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া, ১৫০ কোটি বেহাত: আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার ব্যাখ্যা ◈ পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান  ◈ আ‌মিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডের  নতুন সভাপতি ◈ টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি, ৩ দিনের মধ্যে ছয় জেলায় বন্যার ঝুঁকি ◈ বি‌সি‌বি‌তে ক্রিকেট ছাড়া সবই হ‌চ্ছে : তা‌মিম ইকবাল ◈ সেনা কল‍্যাণ সংস্থার ট্রাক আটকে চাঁদা দাবি, সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেপ্তার ◈ দেশের সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়: ১২ দলীয় জোট ◈ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ভারতকে হারি‌য়ে ফাইনালে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২৫, ১২:৩৪ রাত
আপডেট : ৩০ মে, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথমদিকেই কিডনি রোগ শনাক্তের উপায়: চোখে পড়ার মতো ৬টি ইঙ্গিত

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি অনেকটা নিঃশব্দে কাজ করে যায়। তাই যখন সেটির ক্ষতি হতে শুরু করে, তখন অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয় অনেক দেরিতে, যখন ক্ষতি অনেকটাই হয়ে গেছে। অথচ কিডনির রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা গেলে তা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দেয়—যেগুলো সময়মতো চেনা ও গুরুত্ব দেওয়া খুব জরুরি। নিচে তেমনই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিডনির সুস্থতা সম্পর্কে আগেভাগেই ধারণা পেতে পারেন।

১. ফেনা বা বুদবুদযুক্ত প্রস্রাব: কিডনির ক্ষতির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবে ক্রমাগত ফেনা বা বুদবুদ। এই পরিস্থিতির নাম প্রোটিনুরিয়া। এর অর্থ হলো কিডনির ফিল্টারিং ইউনিট গ্লোমেরুলি প্রোটিনকে, যেমন অ্যালবুমিনকে প্রস্রাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। স্বাভাবিক কিডনি সাধারণত প্রচুর প্রোটিন প্রবেশ করতে দেয় না, তাই খালি চোখে দৃশ্যমান ফেনা একটি সতর্কতা সূচক যা চিকিৎসকের দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত।

 ২. গোড়ালি, পা বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব: কিডনি সোডিয়াম এবং তরল ভালোভাবে ফিল্টার করতে সক্ষম না হলে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ শরীরে জমা হয়। এটি সাধারণত দৃশ্যমান ফোলাভাব সৃষ্টি করে, বিশেষ করে গোড়ালি, পা এবং চোখের চারপাশের অংশে। বিশেষ করে সকালের সময় এসব স্থানে ফোলাভাব সাধারণত অকার্যকর কিডনি পরিস্রাবণের কারণে পানি ধরে রাখার ফলে হয়।

৩. প্রস্রাব বৃদ্ধি, বিশেষ করে রাতে: কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবের ধরণ পরিবর্তন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করেন, বিশেষ করে রাতে। একে নকটুরিয়া বলা হয়। কিডনি ভালোভাবে প্রস্রাব ঘনীভূত করতে না পারলে এমনটা ঘটে। তাই প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন দেখা দেয়।

৪. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: সুস্থ কিডনি এরিথ্রোপয়েটিন তৈরি করে। এটি একটি হরমোন যা লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি এই হরমোন কম নিঃসরণ করে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ কিডনি কার্যকারিতার কারণে রক্তে টক্সিন জমা হওয়ার ফলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

৫. অনবরত চুলকানি: দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ফলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। যার ফলে তীব্র চুলকানি হয়, যাকে প্রুরিটাসও বলা হয়। এই চুলকানি সাধারণত স্থায়ী হয়, টপিকাল লোশন বা ক্রিম প্রয়োগ করলেও উপশম হয় না। এটি রাতে আরও বেশি হতে পারে।

৬. ক্ষুধামন্দা : হঠাৎ ক্ষুধা কমে যাওয়াও হতে পারে কিডনির সমস্যার লক্ষণ। রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হলে তা হজম ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। যার ফলে বমি বমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ, এমনকি বমিও হতে পারে, যা খাবারের প্রতি আগ্রহ হ্রাস করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়