জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পরিচয় জড়িয়ে তার সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, আমার পিএ থাকা অবস্থায় আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ ছিল না। আমি উপদেষ্টা থাকাকালীন নগদ বিষয়ক সম্পূর্ণ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হতো। আমি পদত্যাগের পর আতিক মোর্শেদ বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাহেবের সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, আতিক মোর্শেদের সঙ্গে বর্তমানে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমার সাবেক পিএ পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। যে সংবাদের রেফারেন্সে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সেখানেও আমার নাম নেই। আমরা অফিসিয়ালি এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য দেব।
আজ দুপুরে আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধের নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। যেখানে তিনি আতিক মোর্শেদকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টার সাবেক পিএ পরিচয়ে তুলে ধরেন।
নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তোলেন রাশেদ খাঁন।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন? উৎস: কালের কণ্ঠ।