বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশ থেকে প্রায় ১৮-২০ বিলিয়ন (বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা) ডলার পাচার হয়ে গেছে। এসব তথ্য যাচাই ও প্রমাণে সময় লাগবে। তবে সে প্রক্রিয়াটি বর্তমানে চলমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিএফআইইউ প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামসহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যৌথ তদন্ত দল কাজ করছে এবং প্রয়োজনে আরও তদন্ত দল গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য নতুন। এ ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পাচারের অর্থ ফেরত আনার কাজে গতি আনতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেজন্য ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে।
তিনি জানান, নানান অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ইসলামী খাতের কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করে সাময়িকভাবে সরকারের মালিকানায় নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। এসব ব্যাংককে সরকারের অধীনে এনে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে পারবো।
তখন সরকারি ব্যাংক হয়ে যাবে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের তারল্য (লিকুইডিটি) সহায়তা দিয়েছে। সরকারের কাছে এসব ব্যাংকের মালিকানা সাময়িকভাবে থাকবে। পরবর্তীসময়ে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শেষে সাধারণ দেশি বা বিদেশি ভালো বিনিয়োগকারীদের ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করা হবে। উৎস: জাগোনিউজ২৪