মনিরুল ইসলাম: ভারতীয় পুশইন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের "আশ্চর্যজনক নীরবতা" এবং এখতিয়ার বহির্ভূত চুক্তির বাস্তবায়নের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভায় এসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় নেতারা বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর জনগণ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর আস্থা রেখেছিল।
তবে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পরিবর্তে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় পুশইন ও সীমান্ত হত্যার মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দেশবাসীর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও অভিযোগ করেন, সরকারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বৈঠকগুলোতে যারা অতীতে স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখায় ভূমিকা রেখেছে, তাদের গুরুত্ব দেওয়া হলেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দেশপ্রেমিক শক্তিদের উপেক্ষা করা হয়েছে।
তারা বলেন, “এই আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা এখনো ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রাখতে চাই, তবে আশা করি সরকার গণবিরোধী ও দেশবিরোধী পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দীন পারভেজসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।