শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: টানাপড়েনের মধ্যেও বহমান আন্তঃনির্ভরতা ◈ পলাতক আ.লীগের নেতাদের জমি বিক্রির হিড়িক: টাকা পাচার হচ্ছে দুবাই, কানাডা, ইউরোপে! ◈ সরকারের নতুন আয়কর প্রস্তাব: নতুনদের জন্য ছাড়, উচ্চ আয়ের জন্য কর হার বাড়ছে ◈ আমাদের সমুদ্র সোনার খনি:‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ◈ এ এক অন্য রকম আয়নাবাজী: ১২ বছর ধরে অন্যের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি, অবশেষে ফাঁস হলো প্রতারণা ◈ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান অপসারণের আল্টিমেটাম ◈ অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পেতে যাচ্ছেন সুখবর ◈ টেকনাফ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা: কর না পেয়ে পণ্য আটকে দিচ্ছে আরাকান আর্মি ◈ পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতার সতর্কতা, ১১ জেলায় বন্যার শঙ্কা ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ০১:৪০ রাত
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেকর্ড রান তাড়ায় নতুন অধ্যায়, জিতেশের বিধ্বংসী ইনিংসে বেঙ্গালুরুর অবিশ্বাস্য জয়

লক্ষ্যটা ছিল রীতিমতো এভারেস্টসম। ২২৮ রান তুলতে হতো বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। তা করতে পারলে পুরস্কারটাও ছিল বেশ বড়, কোয়ালিফায়ারে একটা জায়গা হয়ে যেত তাদের। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে দুটো সমীকরণই মেলাল বেঙ্গালুরু। তাতেই দলটা গুজরাট টাইটান্সকে টপকে চলে গেছে আইপিএলের কোয়ালিফায়ারে।

লক্ষ্ণৌয়ের বিদায়টা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একানা স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচে তাদের সামনে ছিল মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়ার হাতছানি।

এমন এক ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌ তোলে ৩ উইকেটে ২২৭ রান। অধিনায়ক ঋষভ পান্ত দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, মাত্র ৬১ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছয়ে। মিচেল মার্শ তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন। ৩৭ বলে করেছেন ৬৭। এই দুইয়ের ব্যাটে চড়ে লক্ষ্ণৌ তুলে ফেলে ‘এভারেস্টসম’ রান।

এই রানকে ‘এভারেস্টসম’ বলা হচ্ছে মূলত বেঙ্গালুরুর ইতিহাসের কারণে। বিরাট কোহলিরা নিজেদের ইতিহাসে এর আগে ২০০ রানের বেশি তাড়া করেছিলেন মোটে ২ বার, ২২৮ রান কখনো তাড়া করতে পারেনি। গুজরাটকে তিনে ঠেলে শীর্ষ দুই নিশ্চিত করতে চাইলে বেঙ্গালুরুর নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হতো।

এ সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শুরু থেকেই আগ্রাসী রূপ নেয়। ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি, রাজত পাতিদার দ্রুত রান তুলে দলের ভিত গড়ে দেন। তবে ম্যাচের আসল নায়ক ছিলেন অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। মাত্র ৩৩ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছয়। মায়াঙ্ক আগরওয়ালও ৩৫ বলে ৪১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন। শেষমেশ ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরু ২৩০ রান তুলে ৬ উইকেটের দারুণ জয় পায়।

এই জয়ে বেঙ্গালুরু আইপিএল ২০২৫-এর লিগ পর্বে দারুণভাবে শেষ করল। তারা চলে গেল কোয়ালিফায়ারে, যেখানে জিতলে সরাসরি ফাইনালে, হারলেও সুযোগ থাকবে দলের। অন্যদিকে, পান্তের অসাধারণ ইনিংসের পরও দলের বোলিং ব্যর্থতার কারণে জেতা হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের। পয়েন্ট তালিকার ৭ম দল হয়ে তারা আইপিএল থেকে বিদায় নিল আজ।  

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়