শিরোনাম
◈ বিএনপির স্লোগানে, কথায়, কর্মসূচিতে ‘ডিসেম্বর, ডিসেম্বর' ◈ ‘পাকিস্তানি পাসপোর্টে লন্ডনে পাঠিয়ে তারেক রহমানকে হত্যা ছিল পরিকল্পনা’ (ভিডিও) ◈ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ◈ বাংলাদেশ দ‌লের মধ‌্যমাঠ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা: কোচ কাবরেরা ◈ জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ (ভিডিও) ◈ বিসিবি সভাপতি ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করলো জাতীয় ক্রীড়া প‌রিষদ ◈ রাজস্ব ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যানকে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা ◈ সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনে যেতে পারবো না, বললেন নাহিদ (ভিডিও) ◈ ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ  ◈ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপে উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি, ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০৩:৪৩ রাত
আপডেট : ৩০ মে, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: টানাপড়েনের মধ্যেও বহমান আন্তঃনির্ভরতা

বণিক বার্তার প্রতিবেদন।। পণ্য বয়কটের আহ্বান, পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও বেশকিছু পদক্ষেপের কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপড়েন চলছে।

বৈরী এ সম্পর্কে চাপে পড়েছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও উভয় দেশের ব্যবসা। তবে এর মধ্যেও বাংলাদেশে কমেনি ভারতের পণ্য রফতানি। চলতি ২০২৪-২৫ ভারতীয় অর্থবছরেও (এপ্রিল-মার্চ) প্রতিবেশী দেশটি থেকে ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তার আগের অর্থবছরে আনা হয়েছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের পণ্য। এ আমদানির বিপরীতে রফতানির পরিমাণ কম। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে এ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য গত পাঁচ দশকে ক্রমেই বড় হয়েছে। পণ্য আমদানিতে চীনের পরই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস দেশ ভারত। ফলে দেশটিরও পণ্য রফতানির শীর্ষ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশই ভারতের পণ্য রফতানি। এসব কারণেই গত বছর শুরু হওয়া সম্পর্কের তিক্ততা অর্থনৈতিক সম্পর্কের এ বাস্তবতায় এখন পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তবে শঙ্কা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক সরকারের অনুপস্থিতি একপর্যায়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

শেখ হাসিনা সরকার গত আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিক্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক। প্রথম কয়েক মাসে তিক্ততার প্রতিফলন সীমাবদ্ধ ছিল বাগযুদ্ধে। সম্প্রতি দুই দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও এ রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশে কমেনি ভারতের পণ্য রফতানি।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব জনগোষ্ঠী যে একটা আন্তঃনির্ভরশীল বিশ্বে বাস করে, তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে দুই দেশের বাণিজ্যে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হলেও কিন্তু ওই দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা প্রভাবিত হয়নি। একই বিষয় ভারত ও চীনের ক্ষেত্রেও। আবার চীন ও জাপানের মধ্যেও এমন চিত্র। রাজনীতির বাস্তবতা, কূটনীতির বাস্তবতা ও অর্থনীতির বাস্তবতার মধ্যে মূলত বড় ধরনের ফারাক। গত তিন বা চার দশকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এটা বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অনেকে ধারণা করেছি ভারত থেকে ব্যাপকভাবে আমদানি কমে যাবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের রফতানিও কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা এখন পর্যন্ত হয়নি। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্কে নিরাপত্তা বা কৌশলগত ক্ষেত্রগুলোয় দ্বিমত থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার জায়গাটিকে গুরুত্ব দেয়া এবং সেটি গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টাও একটা দেশের পররাষ্ট্রনীতি বা কূটনীতির পরিপক্বতাকেই প্রমাণ করে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপ্তিতে দুই দেশের যে আন্তঃনির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে, সেটির কারণেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাতারাতি ক্ষতিগ্রস্ত করা বা হওয়া সহজ নয়। কারণ অর্থনীতির নিয়ম এবং রাজনীতির নিয়মে পার্থক্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ব্যাপকভাবে সীমিত করেছে কিন্তু দুই দেশের বাণিজ্যের জায়গাটি এখনো প্রভাবিত হয়নি। দুই দেশই বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিশ্বায়নের যুগে এটাই যেকোনো অর্থনৈতিক সম্পর্কের একটা মৌলিক দিক।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের শিল্পায়ন এবং বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের একটা বিষয় রয়েছে। এ দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়ে যা মেটানো সম্ভব নয়। পৃথিবীর সব দেশেই কিন্তু একই চিত্র। ভারত বা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক বাস্তবতা সেটা অত্যন্ত শক্তিশালী ও জটিল। ফলে ভারত চাইলেও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সহজে জিওপার্ডাইজ করা বা এটাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা খুবই কঠিন হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই। কাজেই দুই দেশের যে আন্তঃনির্ভরশীলতা আছে যেটা গত দুই-তিন দশকে গড়ে উঠেছে, এটারই একটা প্রতিফলন দুই দেশের বাণিজ্যে দেখা যাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন সত্ত্বেও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে একটা ধারাবাহিক অগ্রগতি বজায় রয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ১৬ হাজার ১৫৬ কোটি বা ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয় ১১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর মার্চে শেষ হওয়া ভারতীয় অর্থবছরে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের।

ভারতের বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটি থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। এছাড়া আমদানি হয় খনিজ ও জ্বালানি পণ্য, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য পণ্য ও সেবা। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হওয়া প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক।

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি নিম্নমুখী হয়ে উঠেছিল। জুলাই-আগস্টেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে দুই দেশের বাণিজ্যে। টানা তিনদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এর ফলে আগস্টে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি কমেছিল ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে কমে যায় ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তবে অক্টোবরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ে। নভেম্বরে আবারো কমে যায় ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে অবশ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। ওই মাসে বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ৩১ দশমিক ৫১ শতাংশ। এরপর জানুয়ারিতেও বৃদ্ধি পায় ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার তা নিম্নমুখী হয়।

ঢাকা-নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপড়েন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার, স্থলপথে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ন্ত, কিন্তু জুলাই-আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। ভারত বন্ধ করেছে ট্রানজিট। আবার তৈরি পোশাকসহ আরো বেশকিছু পণ্য আমদানি বন্ধ করেছে দেশটি। এসবের মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন দৃশ্যমান হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়লেও পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।’

বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের বিদ্যমান মতপার্থক্য বা দূরত্বের কারণে দুই দেশের আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে এ ব্যবসায়ী নেতা জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হবে। যতদিন অন্তর্বর্তী সরকার থাকবে ততদিন এ দূরত্ব থাকবে। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে আগামী দিনে দুই দেশের আমদানি-রফতানি আরো শক্তিশালী হবে এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এছাড়া দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মুক্তির কোনো পথ নেই।’

ভারতের বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারত পণ্য আমদানি করে ১৯৭ কোটি বা ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের। পরের অর্থবছরে যা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে যায়। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পণ্য আমদানি বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০০ কোটি বা ২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

দুই দেশের মধ্যে এমন বাণিজ্যের পরও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ অনুধাবনযোগ্য, কারণ তারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে জোর দিচ্ছেন। এ স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচনকে তারা একটা গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ মনে করছেন। আমি মনে করি সেই আঙ্গিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উদ্বেগ কাটানো যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা উভয় দেশের মধ্যে পণ্যের চাহিদা, বাজারের সক্ষমতা ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভারতীয় পণ্যের প্রতি বাংলাদেশের বাজারে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিও দেশটির বিদ্যমান রফতানি প্রবণতার একটি বড় কারণ।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যদিও সময়বিশেষে, বিশেষ করে সম্প্রতি, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপড়েনও লক্ষ করা গেছে। তবু পরিসংখ্যান বলছে যে এ টানাপড়েন বাংলাদেশের প্রতি ভারতের রফতানিতে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি, বরং বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে উভয় দেশের মধ্যে পণ্যের চাহিদা, বাজারের সক্ষমতা ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা একটি বাস্তব ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভারতীয় পণ্যের প্রতি বাংলাদেশের বাজারে যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তা এ রফতানি প্রবণতার একটি বড় কারণ। পাশাপাশি দুই দেশের ভৌগোলিক নিকটতা, সাংস্কৃতিক মিল ও আন্তঃনির্ভরশীলতা এ বাণিজ্য সম্পর্ককে আরো গভীর ও স্থিতিশীল করে তুলেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন খাতে যেমন রফতানি খাতে কাঁচামাল, কৃষিপণ্য, নির্মাণসামগ্রী ও ভোগ্যপণ্য—এসব ক্ষেত্রে ভারতের পণ্য বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আমদানিতেও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেন সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আমদানি ২ বিলিয়ন ডলারের ঊর্ধ্বে পৌঁছেছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যের দিকে একটি ছোট কিন্তু দৃশ্যমান অগ্রগতি। ভবিষ্যতে উভয় দেশ যদি অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং নীতিগত সহযোগিতা আরো জোরদার করে, তবে এ বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ, ভারসাম্যপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। টানাপড়েন থাকলেও এ সম্পর্ক বাস্তবমুখী ও কৌশলগত গুরুত্বসম্পন্ন, যা উভয় দেশেরই বজায় রাখতে সচেষ্ট হওয়া উচিত।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়