জেরিন আহমেদ: গেল বছরের প্রথম ৫ মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৫ মাসে রোগী বেড়েছে ৬ গুণের বেশি। এছাড়া জটিলতা এড়াতে সরকারি ল্যাবে শনাক্তকারী কিট সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শঙ্কা ধীরে ধীরে বাস্তব হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩১৭ জন। ওই সময়ে এই রোগে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। তবে এ বছরের প্রথম ৫ মাসেই আক্রান্ত, ১ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে, ১৩ জনের। অর্থাৎ গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুন।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান বলেন, এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে। কারণ দেশে এখন ডেঙ্গুর চারটি ধরণই সক্রিয় রয়েছে।
এই ভাইরোলজিস্ট বলছেন, প্রতি ১শ’জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই জটিলতা এড়ানো ও সুচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডেঙ্গুর ধরণ পরীক্ষা করা দরকার। তবে এজন্য সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে সরবরাহ করতে হবে শনাক্তকারী কিট। সূত্র: চ্যানেল ২৪
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন চারজন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, নতুন ভর্তি রোগীর দুই জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং দুই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :