শাহীন খন্দকার : করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের চতুর্থ ডোজ দিতে বলা হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে।
গত বছরের শেষে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রাথমিকভাবে কেবল দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় ওই দেশটি।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজের বিপরীতে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।
দেশে এই পর্যন্ত শিশুসহ মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৩ শতাংশ। ২০২১ সালে দেশে শুরু হয় করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম।
ডা. শামসুল হক বলেন, আমরা সারা দেশে ৭ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এ উপলক্ষ্যে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ ডোজ। ক্যাম্পেইনে মোট ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
এএঈচ