‘দিনের ভালো শুরু মানেই দিনের অর্ধেক জয়’-এই প্রবাদটিকে সত্য করতে হলে প্রয়োজন সঠিক নাশতা বা সকালের খাবার।
পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে কী খাওয়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে সারাদিনের কর্মক্ষমতা, মনোযোগ এবং শারীরিক সতেজতা। তাই দিনভর শরীরকে চাঙা রাখতে সকালের খাবার হতে হবে সুষম, শক্তিদায়ক ও সহজপাচ্য।
কেন সকালের খাবার জরুরি?
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দীর্ঘ সময়ের উপোস ভাঙতে হয় নাশতার মাধ্যমে। নাশতা শরীরকে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ সরবরাহ করে, যা মস্তিষ্ক ও পেশির প্রধান জ্বালানি। নাশতা বাদ দিলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, মনোযোগে ঘাটতি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
সকালের খাবারে যা রাখবেন
ডিম: ডিম হলো প্রোটিনের ভাণ্ডার। এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরকে শক্তি যোগায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওটস বা লাল আটা রুটি: জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হওয়ায় এগুলো ধীরে হজম হয়, ফলে দীর্ঘ সময় শক্তি যোগায়।
দুধ ও দই: ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এসব খাবার হাড় ও দাঁত মজবুত করার পাশাপাশি শরীরে ভারসাম্য রক্ষা করে।
ফলমূল (আপেল, কলা, পেঁপে): সকালে তাজা ফল শরীরে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রাকৃতিক চিনি সরবরাহ করে, যা দ্রুত সতেজতা ফিরিয়ে আনে।
বাদাম ও বীজ (আলমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড): স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনের উৎস, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
সবজি (শাক, টমেটো, শসা): ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে হালকা রাখে।
যেগুলো এড়িয়ে চলবেন
অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত ভাজা খাবার
অতিরিক্ত চিনি মেশানো পানীয়
শুধুমাত্র চা বা কফি খেয়ে নাশতা সারার প্রবণতা
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
পুষ্টিবিদরা বলছেন, নাশতা কখনো বাদ দেওয়া উচিত নয়। তবে প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে বৈচিত্র্য আনলে শরীর প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি পাবে।