গ্রীষ্মকালীন ফল আম জাম লিচুর মতো জামরুল জনপ্রিয় কোনো ফল নয়। বাসা-বাড়িতে জামরুল নিয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে কাড়াকাড়ি হয় না। জামরুলের গাছের নিচেও লেগে থাকে না বাচ্চা-কাচ্চাদের ভিড়। কারণ, সুদর্শন হলেও জামরুল ততটা সুস্বাদু নয়, একটু পানসে স্বাদের। তাই এটি নিতান্তই অবহেলিত একটি ফল। দারুণ মজাদার না হলেও অবহেলিত এই ফলটিরই কিন্তু রয়েছে অনেক গুণ।
এক. জামরুলে প্রচুর পানি থাকে বলে জামরুল আমাদের তৃষ্ণা মেটায়। জামরুল পানির চাহিদা পূরণ করে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
দুই. জামরুলে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ। ভিটামিন এ আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
তিন. একজন মানুষের ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হতে পারে জামরুল থেকে। এছাড়া জামরুল আমাদের হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হাড়কে করে মজবুত।
চার. জামরুল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ, জামরুলে থাকে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
পাঁচ. জামরুলে বিদ্যমান ডায়েটারি ফাইবার হজম ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা নিযমিত জামরুল খেলে উপকার পাবেন।
ছয়. মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য। আর জামরুল শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য ধরে রাখে।
সাত. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও জামরুল দারুণ উপকারী। জামরুলের আন্টিহাইপারগিলসেমিক গ্লোকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আট. জামরুলে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও ফ্যাবনয়েড ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। তাই যারা নিয়মিত জামরুল খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
নয়. জামরুলে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। আর পটাশিয়াম পেশির ব্যথা দূর করে পেশিকে করে শক্তিশালী।
দশ. জামরুল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কেননা জামরুলে প্রচুর পরিমাণে এইচডিএন রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এগারো. লিভারকেও সুরক্ষা দেয় জামরুল। জামরুলের হেপাটো প্রটেক্টিভ লিভারের কোষ ধবংস থেকে রক্ষা করে।
বারো. জামরুল কাজ করে জীবাণু ও ছত্রাক নাশক হিসেবেও। এছাড়া জামরুল ত্বকও ভালো রাখে।