শিরোনাম
◈ “জুলাই ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অমোঘ ডাক”— জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ◈ আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতির মধ্যে চলে গিয়েছিলাম: নাহিদ ইসলামের বর্ণনায় জুলাইয়ের দিনগুলো ◈ বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নাই, বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী: ঢাকার পুলিশ কমিশনার ◈ বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়া ক্রিকেট কোচ গর্ডন গ্রিনিজকে যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছিলো ◈ মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, কেউ কেউ আইএসের সঙ্গে যুক্ত (ভিডিও) ◈ এনসিপির ছায়ায় ফিরছে আওয়ামী লীগ : সাবেক এমপি কায়কোবাদ ◈ জমি অধিগ্রহণের পর সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল: চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ সার্ক অচল: চীন-পাকিস্তানের বিকল্প জোট গঠনের ভাবনা, বাংলাদেশ জানালো অংশ নেয়ার পরিকল্পনা নেই ◈ দে‌শি আম্পায়ার‌দের দক্ষতা বাড়া‌তে ৩ বছরের জন্য অ‌স্ট্রেলিয়ান সাইমন টাফেলকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি ◈ বিপিএল শুরু হ‌বে জানুয়া‌রি‌তে, দল এখ‌নো চূড়ান্ত হয়‌নি 

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০২ বিকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে ২ কোটি ২৬ লাখ শিশু

আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) এক যোগে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সি প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রে তাদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরাম স্ক্যালিং আপ নিউট্রিশন (এসইউএন) এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। এর পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে, যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে খুবই সহায়ক ছিল। আমাদের সকল  শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে এবং ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুই বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় জানায়, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ তথা একটি দেশের জন্য বোঝা। বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের এ অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশুমৃত্যুর  ঝুঁকিও  কমানো সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন  সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে  বদ্ধপরিকর। এ বছর আগামী ১৫ মার্চ সারাদেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী  প্রায় ২ কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়