শিরোনাম
◈ দিল্লিতে সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের বিষয়ে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ◈ মাধ্যমিক স্কুলের প্রাথমিক শাখারও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা ◈ কোন দেশের রাষ্ট্রদূত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোন কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ◈ অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল ◈ মহাদেবপুরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, নিহত ৪ ◈ আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশ, এক দশকে সর্বোচ্চ ◈ টিপু হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ◈ নায়ক ফারুকের আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম ◈ ঢাকায় এলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান 

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৩, ১১:২৫ দুপুর
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৩, ০৪:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জবিতে রাতের আঁধারে কাটা হল গাছ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

অপূর্ব চৌধুরী, (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শ্রেণীকক্ষের সামনের একটি বড় আশঁফল গাছ রাতের আঁধারে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের অনুমতি না নিয়েই গাছটি কাটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে)  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভেতরে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের পিছনে থাকা বড় আশঁফল গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। গাছের কাটা অংশ এবং পাতা এখনো সেখানে পড়ে রয়েছে। ডালপালা ছড়িয়ে রয়েছে পুরো জায়গা জুড়েই। জানা যায়, গত বুধবার (২৪ মে) গভীররাতে লোকজন নিয়ে এসে গাছটি কেটে ফেলেন ইমাম মো. সালাহ উদ্দিন।

বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন বলেন, গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে ক্লাস করে বের হয়ে গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতাম। কত শত স্মৃতি বিজড়িত গাছটির মৃত্যু হলো। এমন একটি গাছ পুরান ঢাকার মত জায়গায় উঠতে ২০ থেকে ৩০ বছর লেগে যায়। কাটার সময়ও পুরো গাছটা আঁশফলে ভরা ছিলো। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

গাছ কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, গত পরশুদিন এস্টেট অফিসার কামাল সাহেবকে জানানোর পরে তিনি ট্রেজারার স্যারের কাছে নিয়ে যান আমাকে। ট্রেজারার স্যার অনুমতি দিয়েছেন তাই আমি গাছ কেটেছি।

তবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) মোহাম্মদ কামাল হোসেন সরকার বলেন, আমাকে উনি (হুজুর) আঁশ ফল গাছের কথা বলেন নাই। ওইপাশে যে নারিকেল গাছ আছে আমার সঙ্গে সেটার ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, নারিকেল গাছ কাটলেও ট্রেজারার স্যারের অনুমতি লাগবে। আমি বৃহস্পতিবার সারাদিন সচিবালয়ে ছিলাম। গাছকাটার বিষয়ে কিছুই জানিনা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। গাছটি কাটা ঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিবো। 

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমি নারিকেল গাছের ডালপালা ছাটাইয়ের বিষয়ে অবগত ছিলাম। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। সংবাদ পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে ইমামকে চার্চ করেছি এবং বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত করেছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

প্রতিনিধি/এমআই/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়