সালেহ্ বিপ্লব: [২] বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
[৩] এডিবির ঋণ সহায়তায় এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়ার প্রকৌশল এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রোগ্রামগুলো উন্নত করা হবে। এই প্রোগ্রামগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে যোগ করা হবে।
[৪] শুক্রবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঋণ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
[৫] এডিবির সামাজিক খাতের অর্থনীতিবিদ রিওতারো হায়াশি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি গ্রহণ দ্রুততর করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের উন্নয়ন সময়ের দাবি।
[৬] তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি আরও দক্ষ ও প্রযুক্তিপ্রেমী স্নাতক এবং উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। তারাই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
[৭] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এডিবি এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাবরেটরি, সহযোগিতা ও স্টার্ট-আপ স্পেস এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। এই সুবিধাগুলোতে জলবায়ু ও দুর্যোগ-সহনশীল নকশা, শক্তি ও পানি-সাশ্রয়ী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়া নারী-বান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
[৮] এডিবি আশা করছে, তাদের এই প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় তিনটিতে নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কাজ করবেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না