শিরোনাম
◈ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ায় ব্যাপক সমালোচনা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পুরনো বিরোধের নতুন বিপজ্জনক মুহূর্ত ◈ রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ভার‌তের ড্রোন হামলা, পিএসএলের ম্যাচ অনিশ্চিত ◈ বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসে সংকটের মুখে উন্নয়ন: বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ ◈ প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কার লিস্ট, সব জটিল হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল ◈ কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর সেনাপ্রধানের গুরুত্বারোপ (ভিডিও) ◈ কার ফোনে বিমানবন্দর থেকে ছাড়া পেলেন আবদুল হামিদ? হান্নান মাসউদের পোস্ট ◈ আবদুল হামিদের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে না পারলে আমি চলে যাবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ‘বাংলাদেশে এখন হাসিনা নেই’, বিএসএফকে শাসালেন বাংলাদেশি (ভিডিও) ◈ জোড়াতালি দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব নয়: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২৫, ০৭:৫৩ বিকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হলে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক : পর্যাপ্ত গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে পোশাক শিল্পের বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন দি ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি) এর কর্তাব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে দি ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি) কর্তৃক আয়োজিত এক প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে আসে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক এহসানুল করিম কায়সার, সদস্য সচিব মো. এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশজ রপ্তানির ৮৪ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক খাত। আর তৈরি পোশাক খাতের উপর নির্ভর করেই ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড শিল্পের ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। গত ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে একদিকে শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং অনিয়মিতভাবে গ্যাসের সরবরাহ, অন্যদিকে ২০২৩ সালে হঠাৎ করে গ্যাসের মূল্য ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ফলে টেক্সটাইল শিল্প কারখানাগুলোকে চ্যালেঞ্জ ও ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। পর্যাপ্ত গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বর্তমান সরকার বিদেশী ও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য। কিন্তু গ্যাসের সরবরাহের নিশ্চয়তা না দিয়ে নতুন কারখানায় গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে পুরাতন/ চলমান কারখানার চেয়ে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করে মূলত নতুনদেরকে শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।

তারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিকের বেতনবৃদ্ধি ও অধিকতর মূলস্ফীতির কারণে ইতোমধ্যে ৫০০ ছোট বড় কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টেক্সটাইল খাতের বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

জনগণকে বেকার রেখে দিন বদল করা যাবে না। বেকারত্ব দূর করতে হলে প্রাইমারী ও তৈরি পোশাক শিল্পকে সচল ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার উৎপাদনমুখী শিল্পে যে কোন পরিমাণ বিনিয়োগে প্রশ্ন ব্যতীত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করার সুযোগ প্রদান করেছিল। সে সময় তার সুফলও পাওয়া গিয়েছিল, প্রচুর পরিমাণে শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছিল। এই সুবিধা প্রদান করার সুফল দেশ ও জনগণ পেয়েছে, উপরন্ত কালো টাকা শিল্পে বিনিয়োগের ফলে পাচারকে অনুৎসাহিত করা গেছে। আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিতকরণ, ব্যাংক সুদের হার ১০ ভাগে নামিয়ে আনা, ব্যাংকিং চার্জ কমানো, বন্দরের চার্জ হ্রাস, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিল্প উৎপাদনে গতিশীলতা আনয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। বিগত কিছুদিন যাবৎ তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, ফলে উৎপাদন বন্ধ থেকেছে। এ নিয়ে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা ও ক্রেতাগণ উদ্বিগ্ন। যে কোন পরিস্থিতিতে শিল্পক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও অসন্তোষ মুক্ত রাখতে সরকারের দৃষ্টি দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়