শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৩, ১১:২০ রাত
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২৩, ১১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডলার সংকটে গাড়ি আমদানি কমেছে তিন-চতুর্থাংশ

মনজুর এ আজিজ: ডলার-সংকটে আমদানি ঋণপত্র খুলতে না পারায় গত ৬ মাসে ১২ হাজার গাড়ি আমদানি হওয়ার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র চার ভাগের একভাগে। অর্থাৎ গত ছয় মাসে দেশে মাত্র ২ হাজার ৮০০টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

মঙ্গলবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজেটে বারভিডার দাবিগুলো অনেকাংশে প্রতিফলিত হয়নি। সরকারের নীতি গ্রহণের সময় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সবার জন্য সুবিধা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির গাড়িতে শুল্ক-কর পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে বারভিডার সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, ডলার-সংকটের কারণে ব্যবসা কিছুটা কমলেও আমরা সহ্য করে নিচ্ছি। কারণ সরকার আমাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, দেশের এই সংকটে আমদানি একেবারে বন্ধ না করলেও লাগাম টানতে হবে। তবে ডলার-সংকটের মধ্যে অনেক ব্যাংকমালিক নতুন গাড়ি আমদানির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।  

রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি কমে যাওয়ার তথ্য দিয়ে হাবিব উল্লাহ বলেন, ব্যবসাটা কোথায় এসেছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু আমি না, আমাদের এ খাতের সবাই ভুগছে। তবে আমরা আশা করছি, দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে। নিয়মিত সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে, ওনারাও আমাদের সাহস দিচ্ছেন। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।

বারভিডা সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় তাঁরা বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ির শুল্ক-কর পুনর্বিন্যাসের সুপারিশ তুলে ধরেছিলেন। হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটরগাড়িতে সিসিভিত্তিক শুল্ক-করের হার বিদ্যমান। তবে উৎপাদক ও ব্যবহারকারী অন্য দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সিসি স্ল্যাবের সংস্কার ও পরিবর্তন দরকার। 

তিনি বলেন, ফসিল ফুয়েলচালিত গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্কহার পুনর্বিন্যাস এবং জ্বালানির প্রাপ্যতা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের সময়ে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানি ও ব্যবহার বৃদ্ধি বড় রকমের স্বস্তি দিতে পারে। আমরা তাই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছিলাম। সেটা আবার বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মাইক্রোবাসকে গণপরিবহন হিসেবে উল্লেখ করে এর ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানায় বারভিডা। এছাড়া দ্বিতীয় গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের পরিকল্পনা আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবদুল হকসহ অন্য নেতারা। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এমএএ/এসএইচবি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়