শিরোনাম
◈ আন্তর্জাতিক বাহিনী আসছে গাজায়, নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে হামাস ◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৪০ বিকাল
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খোলাবাজারে এলপি গ্যাস ও ঝুঁকিপূর্ণ পেট্রোল অকটেনের জমজমাট বাণিজ্য

এলপি গ্যাস

মাহাদী হাসান, নীলফামারী: পেট্রোল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ খোলাবাজারে বেচাকেনা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। অথচ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বালানি। কেবল তাই নয়, বিধিনিষেদের তোয়াক্কা না করে বাসাবাড়িতে ব্যবহত এলপি গ্যাসে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, থ্রীহুইলার।

শনিবার জলঢাকা পৌরসভা, টেঙ্গনমারী, কৈমারী, মিরগন্জ, বঙ্গবন্ধু হাট, শিমুলবাড়ীসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, মুদি দোকান, এমনকি পানের দোকানেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনা চলছে। অনেক দোকানে মোটরসাইকেলের অকটেন, পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব দাহ্য পদার্থের অবাধ ব্যবসা চলছে।

জানা গেছে, ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না, এমন আইনের সুযোগ নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। কেউ কেউ প্রথমে বাসাবাড়ি বা গুদামে মজুত করেন সিলিন্ডার, সেখান থেকে অল্প অল্প করে দোকানে এনে বিক্রি করেন। বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলিন্ডার মজুত করতে হলেই অধিক নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক, তবে তা মানছেন না খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। 

কৈমারীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিজান বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে লাইসেন্স লাগে, এটা আমার জানা ছিল না। অনেক দোকানদার বিক্রি করছে, তাই আমিও বিক্রি করছি। কারণ, এখন আর সিলিন্ডার কিনতে দূরে যেতে হয় না, গাড়ি এসে দোকানে দিয়ে যায়।

জলঢাকা - নীলফামারী সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান সোহেল মিয়া। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছি, আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা সাবধানতার সঙ্গে চালাচ্ছি। আগে পেট্রোল দিয়ে অটোরিকশা চালাতাম, তাতে ব্যয় বেশি।

নীলফামারীর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, অগ্নিনির্বাপণ আইনে এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। লাইসেন্সবিহীন গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

নীলফামারীর বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক হিমাদ্রী ঘটক বলেন, যেসব চালক গাড়িতে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়