খালিদ আহমেদ: চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে টিপু মুনশি বলেছেন, দাম বাড়ানো না হলে বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। সব হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম যতটুকু বাড়ানো দরকার ততটুকু বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিন হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় পণ্যটির পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে।
নতুন এই দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা।
সর্বশেষ গত বছরের ১৭ নভেম্বর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করা হয়। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়। বাকি চিনি আমদানি করতে হয়।
কেএ/এনএইচ