শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ০২:৪০ দুপুর
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ০৬:২০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ

বাজার দর

সনতচক্রবর্ত্তী: সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেটের কারনে নিম্নমানের আয়ের মানুষ  দিশেহারা হয়ে পরেছে। জ্বালানি তেল ও সিন্ডিকেটের কারনে দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।বর্তমানে সময়ে  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্য বা সেবার ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়াই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সম্প্রতি চাল, ডাল, তেল, সবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোনোভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে চরম দুর্দশা দেখা দিচ্ছে। 

শুক্রবার (১২ আগষ্ট) ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে যত দিন যাচ্ছে বাজারে ততই দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ছে। দাম না কমায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। তবে জ্বালানি তেলের দাম কমলে সব সবজির দামই নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ক্রেতা- বিক্রেতারা।

তথ্য সূত্রে থেকে জানা যায়, প্রতিনিয়তই চাল, তেল ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়াছে। ২০২০ সালে সয়াবিন তেল প্রতি কেজির পাইকারি দাম ছিল ৮৮ টাকা, ২০২১ সালে ১১৫ টাকা ও  চলতি বছর ১৮০ টাকা। ২০২০ সালে পাম ওয়েল ছিল ৬৪.৫ টাকা, ২০২১ সালে ৯০ টাকা ও  বর্তমানে ১৪৯ টাকা। ২০২১ সালে মোটা মসুর ডালের দাম ছিল কেজি ৬৮ টাকা, ২০২২ সালে ৮৯ টাকা। ২০২১ সালে দেশি মসুর ডালের দাম ছিল ৯২ টাকা, বর্তমানে ১০৮ টাকা। ২০২১ সালে বিদেশি চিনির দাম ছিল ৫৬ টাকা, বর্তমানে ৮০ টাকা। ২০২১ সালে আটার দাম ছিল ২২ টাকা ২০২২ সালে ৪০টাকা। ২০২১ সালে লবনের কার্টুনের দাম ছিল ২৭০ টাকা আর বর্তমানে ৩৯০ টাকা।

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন  বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল আলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুরলতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ৪০-৬০ টাকা কেজির নিচে নেই কোনো সবজি। ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙ্গা, করলা, চিচিঙ্গা ৪০-৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫, কাঁচামরিচ ২৫০-২৮০, রসুন ১৩০-১৪০, গোল আলু ৩০-৩৫, দেশি আদা ১৩০-১৬০, আমাদানি করা আদা ১৬০- ২০০, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০, ঢেঁড়শ ৪০, কচুর লতি ৫০, কাচ কলা প্রতি হালি ৩০, পটল ৪০, করলা ৫০, কচু প্রতিটি ৩০-৪০ এবং কচুরমুখি ৪৫ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা রসুল শেখ বলেন, জ্বালালি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সব পণ্যের দাম বাড়তি। তাই জ্বালানি তেলের দাম কমলে সব পণ্যের দাম কমে যাবে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাছ বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই ৩০০-৩৫০, মাঝারি রুই ২৫০-২৭০, কাতল ২৫০-৩০০, বড় পাঙ্গাশ ২০০-২৫০, পাবদা ৫০০-৬০০, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ ও শিং ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৮০০, ১০০০ ও ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচকি মাছ ৩০০ ও মলা মাছ ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাটা মাছ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছই খুচরা বাজারে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বাজার দরের ব্যাপারে অনেকে মনে করেন, বর্তমানে ব্যবসা চলে গেছে সিন্ডিকেটধারীদের হাতে। তারা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কখন দাম বাড়ানো যায়। সারাদেশে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করছে।
তারা মনে করে সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়