দেশে ডলারের সংকট কেটে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানির জন্য ডলার সংগ্রহ করতে এখন আর আগের মতো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পণ্য আমদানিতে কোনো বাধা নেই। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন—ছোলা, খেজুর, ডাল, চিনিসহ ছয় ধরনের পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণত অনেক বেড়ে যায়, তাই ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। বর্তমানে ডলারের দরও স্থিতিশীল রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোয় আমদানির জন্য প্রতি ডলারের দাম ছিল ১২২ টাকা ৮০ পয়সা।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুখপাত্র বলেন, আগামী মাসে পেঁয়াজের নতুন মৌসুম শুরু হবে, তাই পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কিছুটা কমেছে। অবশ্য পেঁয়াজ আমদানিতে বর্তমানে সরকারের অনুমোদনও নেই। তবে রমজানে যে পরিমাণ পণ্যের প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। সাধারণত পণ্য দেশে আসতে তিন মাসের কম সময় লাগে। সেই হিসাবে রমজানের আগেই বাকি পণ্যের চালান দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের ব্যাংক খাতকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য একের পর এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পাঁচটি ব্যাংক নিয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর জন্য সরকার ইতিমধ্যে বোর্ড গঠন করেছে। তবে সেই বোর্ডে পরিবর্তন আসতে পারে, যার ইঙ্গিত গভর্নর আগেই দিয়েছিলেন।