শিরোনাম
◈ জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ◈ পে স্কেল কাঠামোর বাইরে রয়েছেন যারা ◈ শীঘ্রই ফিরবেন শেখ হাসিনা, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরবেন তারেক রহমান, কে আগে ফিরবেন: গোলাম মাওলা রনি ◈ এবার বিদেশি ইউটিউবার মোহাম্মাদপুরের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরলো (ভিডিও) ◈ আফগা‌নিস্তান‌কে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়‌লো বাংলা‌দেশ ◈ প্রস্তাবিত রোডম্যাপ: গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রকাশ ◈ জনপ্রশাসনে বড় পরিবর্তন: উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত নতুন কাঠামো ◈ বিএনপির কাছে শতাধিক আসন চায় মিত্র দলগুলো, চলছে দর-কষাকষি ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৯ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক ◈ ‌বি‌সি‌বির নির্বাচন সোমবার, ক্রীড়া উপদেষ্টা খেলাধুলার জন‌্য পর্যাপ্ত সময় ব‌্যয় ক‌রেন: বুলবুল

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৪০ রাত
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৯ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর, বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাসহ বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় দুই নাগরিকও। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে দুদক এই তথ্য চেয়েছে বলে জানা গেছে। ওই চিঠিতে কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, দায়িত্বের পরিধি, কর্মস্থল ও সংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

তথ্য তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ঘটনার পর একই বছরের ১৫ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন। এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়, কমন সার্ভিস বিভাগ-২ এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মসিউজ্জামান খানের নাম দুবার উল্লেখ করা হয়েছে, তবে দুদক নিশ্চিত করেছে যে তিনি একই ব্যক্তি। মেজবাউল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেন।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণ এবং লেনদেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোর একাধিক কর্মকর্তা ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো দুই কোটি ডলার ফেরত আসে তাৎক্ষণিকভাবে। ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার পরবর্তীতে ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে ১২টি মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম ও অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং এই চারটি বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।

দুদকের চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানার বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিনটি ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ‘সুইফট’ সংযোগের কাজ করেন। আর রিজার্ভ চুরির পর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা নিরূপণ ও ‘ফায়ারওয়াল’ ভেদ করে কীভাবে টাকা স্থানান্তর হলো তা যাচাই করতে রাকেশ আস্তানাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়