শিরোনাম
◈ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আসছে দুর্বল পাঁচ ইসলামী ব্যাংক, গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর আশা ◈ ভুয়া দৃষ্টিভঙ্গি বনাম বাস্তব ঝুঁকি: বাংলাদেশিদের ইউরোপে আশ্রয় প্রশ্নে সংকট ◈ জনতার দাবি মৃত ব্রাহমা গরু জবাই, যা বললেন আলোচিত খলিল (ভিডিও) ◈ আফগা‌নিস্তা‌নের বিরু‌দ্ধে সহজ ম‌্যাচ ক‌ঠিন ক‌রে জিত‌লো বাংলা‌দেশ ◈ ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই ◈ বাংলাদেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ ৫ হাজার,, কী পরিমাণ রাজস্ব মেলে? ◈ বাজারে ইলিশের চড়া দাম: ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে ১১ কারণ ◈ দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হতে পারে যেভাবে ◈ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮-৯ অক্টোবর ছুটি? যা বলছে মাউশি ◈ ‌ঝি‌লি‌কের ঝলক, পা‌কিস্তান‌কে উ‌ড়ি‌য়ে দি‌য়ে নারী বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা বাংলা‌দে‌শের

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৭ রাত
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ ৫ হাজার,, কী পরিমাণ রাজস্ব মেলে?

দেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধনে ঘটেছে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি। ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে, যেখানে এক দশক আগেও এই সংখ্যা ছিল দেড় লাখের কম। এই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ৭০ শতাংশের বেশি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে হলে যেসব সরকারি দপ্তরের দ্বারস্থ হতে হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)। দেশি-বিদেশি কোম্পানি, ফার্ম, ট্রেড অর্গানাইজেশন, সোসাইটি এবং এক ব্যক্তিক কোম্পানির নিবন্ধনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ এই সংস্থাটি।

আরজেএসসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান আছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৫১৬টি। এর মধ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ৩ হাজার ৭৭৭টি, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি, বিদেশি কোম্পানির (লিয়াজোঁ অফিস) এক হাজার ২৩৮টি, অংশীদারি ফার্ম ৬১ হাজার ২৯৬টি, ট্রেড অর্গানাইজেশনএক হাজার ২১৬টি, সোসাইটি ১৬ হাজার ১৫টি এবং এক ব্যক্তিক কোম্পানি ৬৯৯টি। অর্থাৎ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২ শতাংশই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, বিদেশি কোম্পানির (লিয়াজোঁ অফিস), অংশীদারি ফার্ম, ট্রেড অর্গানাইজেশন, সোসাইটি এবং এক ব্যক্তিক কোম্পানির সংখ্যা ছিলো ২১ হাজার ৬০৮টি। এর পর ১৯৮২ সালে বেড়ে হয় ৩৮ হাজার ৯৪৯টি, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় এক লাখ ৩২ হাজার ৬৫৩টি এবং ২০২৫ সালের আগস্টে এসে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৫১৫টি। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

আরজেএসসি স্ট্যাম্প ডিউটি, ভ্যাট ও নন-ট্যাক্স রাজস্ব আদায় করে থাকে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই তিন খাত থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ২৮৯ টাকা রাজস্ব পেয়েছে আরজেএসসি। এর মধ্যে নন-ট্যাক্স রাজস্ব ২৩ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৫৫২ টাকা, স্ট্যাম্প ডিউটি ১৩ কোটি ৪২ লাখ ২৪ হাজার ২৪ টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭১৩ টাকা আদায় হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৪৩ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ২৩৬ টাকা আদায় করে আরজেএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৮৭ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭০ কোটি ৬১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকা আদায় হয়। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ১০৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২১৫ কোটি ৫ লাখ ৩ হাজার ২৭৯ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৬ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭০১ টাকা রাজস্ব আয় করে আরজেএসসি।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি: বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আছে ৩ হাজার ৭৭৭টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৮২০টি। ১৯৮২ সালে নিবন্ধিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ছিল এক হাজার ৭৮২টি। এছাড়া ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ছিল এক হাজার ৪৪৫টি। অর্থাৎ দেশ স্বাধীনের পর দেশে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৩৩২টি।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি: বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি আছে ২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৩৪৩টি। ১৯৮২ সালে নিবন্ধিত প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ছিল ৭ হাজার ৮১৩টি। এছাড়া ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ছিল ২ হাজার ৩২২টি। অর্থাৎ শেষ ১৬ বছরে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বেড়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৯৩২টি।

বিদেশি কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিস: বর্তমানে দেশে বিদেশি কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিস আছে এক হাজার ২৩৮টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৩১টি। এছাড়া ১৯৮২ সালে ৩৮৪টি বিদেশি কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিস ছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ৩২১টি বিদেশি কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিস ছিলো।

অংশীদারি ফার্মা: বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত অংশীদারি ফার্মা আছে ৬১ হাজার ২৯৬টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৫৮২টি। ১৯৮২ সালে নিবন্ধিত অংশীদারি ফার্মা ছিল ২৭ হাজার ৯০১টি। এছাড়া ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত অংশীদারি ফার্মা ছিল ১৬ হাজার ৯১৭টি।

ট্রেড অর্গানাইজেশন: বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ট্রেড অর্গানাইজেশন আছে এক হাজার ২১৬টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩৭টি। ১৯৮২ সালে নিবন্ধিত ট্রেড অর্গানাইজেশন ছিল ১৪২টি। এছাড়া ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত ট্রেড অর্গানাইজেশন ছিল ৪৭টি।

সোসাইটি: বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত সোসাইটি আছে ১৬ হাজার ১৫টি। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৪০টি। ১৯৮২ সালে নিবন্ধিত সোসাইটি ছিল ৯২৭টি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত সোসাইটি ছিল ৫৫৬টি। এছাড়া বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত এক ব্যক্তিক কোম্পানি আছে ৬৯৯টি। উৎস: জাগোনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়