মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা: জধানীর উত্তরা এলাকায় সম্প্রতি সমন্বয়ক নামধারী কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তির মব তৎপরতায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকরাও।গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি ফাস্টফুড দোকানে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্লুইচগেইট ফলের বাজারসংক্রান্ত একটি বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকরা খাওয়ার জন্য বসেছিলেন।
এসময় আকাশ নামের এক সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী ব্যক্তির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন—উত্তরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিজয় টিভির সাংবাদিক আলাউদ্দিন আল আজাদ, উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, উত্তরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সকালের সময়ের সাংবাদিক মো. জোবায়ের আহমেদ।
সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধরের পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি হামলার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, একের পর এক হামলা ও হুমকির ঘটনায় তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে অনেকেই নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছেছে। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে উত্তরায় স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।’ঘটনার পর রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ‘সমন্বয়ক’ নামধারী ওই মবকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রহিম মোল্লা বলেন,‘আপনারা অভিযোগ দিয়ে যান, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের দাবি, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।