বিতর্ক দিয়েই শেষ হলো আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুর। দুদকের জব্দ করা পাঁচটি গরু নিলাম আর জবাই করে মাংস বিক্রি তৈরি করেছে নতুন সমালোচনার। জবাই করার সময় একটি গরুকে মৃত দাবি করে জনতা। তবে তাতে কর্ণপাত না করে সে গরুটিও জবাই করে বিক্রি করেছেন আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিল। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
মৃত গরু জবাই করে বিক্রি, তাও সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রেতা খ্যাত রাজধানীর খলিল গোস্ত বিতানে। এমন অভিযোগের সঙ্গে একটি ভিডিও আসে সময় সংবাদের কাছে। যেখানে দেখা যায় আমদানি নিষিদ্ধ দুদকের জব্দ করা ব্রাহমা জাতের গরু জবাই করছে খলিল গোস্ত বিতানের লোকজন। তবে গরুটি নিস্তেজ, ভিড় করা জনতা গরুটিকে মৃত দাবি করছে।
তবে তাতে পাত্তা না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে গরুটিকে জবাই করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে খলিলের ম্যানেজার সোহাগ ভিন্ন গরু জবাইয়ের ভিডিও দেখিয়ে গরুটি জীবিত ছিল বলে দাবি করেন। তবে ঘটনার ভিডিও দেখালে নির্বাক হয়ে যান তিনি।
খলিল দাবি করেন এমন কোনো ঘটনাই সেদিন ঘটেনি। ভিডিওটি এডিট করা। এটা শতভাগ এডিট করা। রাস্তার পাশে ড্রেনের উপর নোংরা পরিবেশে ফেলে জবাই কেনো, জানতে চাইলে নিলাম শর্তের দোহাই দেন খলিল।
তিনি বলেন, আমরা একবার যাওয়ার পরে উনারা আমাদের বলেছে যে আপনারা তিন দিনের মধ্যে জবাই করতে হবে। আপনারদের ওইখানে নিয়ে জবাই করতে হবে। তবে আমাদের সম্মতি আছে। উনারা যেভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে আমরা ঠিক সেভাবেই জবাই করেছি।
অবশ্য গবাদি পশু নিলাম শর্ত বলছে ভিন্ন কথা। কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জবাই করে মাংস বের করার কথা ছিলো জব্দকৃত ব্রাহমা গরুর।
তাহলে কেন জবাই না করেই গরুগুলো তুলে দেয়া হলো খলিলের কাছে। জানতে সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে গেলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি খামার পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম । মুঠোফেনে জানান, জব্দকারীদের অনুরোধে গরুগুলো দিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে মৃত গরু জবাইয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, এ ধরনের কোনো ঘটনাও সেখানে ঘটেনি। সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। আর উনাদের সিদ্ধানেই এটা বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।
জনতার মৃত দাবি করা ব্রাহমা গরুটি বাজার মূল্যের থেকেও কেজি প্রতি সাড়ে ৪’শ টকা বাড়িয়ে ১২'শ টাকা করে বিক্রি করেছেন খলিল। জব্দ করা পাঁচটি গরু নিলামে ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকায় নিয়ে, প্রায় ৭২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। সূত্র: সময়টিভি