আব্দুল্লাহ আল আমীন: [২] বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ময়মনসিংহে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পাকা ধান ঘরে তুলতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন স্বাভাবিক আবহাওয়া থাকলে ধান মাড়াই শেষ করে ঘরে তোলতে পারবে কৃষকরা। রোদ ভরা প্রকৃতি এবার দু’হাত ভরে দান করেছে। নির্মল বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনারাঙা পাকা ধান। তা দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষকরা।গ্রামের প্রতিটি কৃষক পরিবারের সকল সদস্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এক টানা ধান কাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
[৩] একদিকে তীব্র রোদ্রে তাপদাহ চলছে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল বিল জলাশয়, সড়ক পথে চলাচল করা দূস্কর। এই কঠিন সময়ে ধান মাড়াই, কাটা গড়ে তোলা কৃষকের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ মুহূর্তে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ তাদের মজুরি সাতশ থেকে আটশ টাকা। কৃষকদের দাবি ন্যায্য মূল্য পেলে সামনে চলার আগ্রহ বাড়বে নয়তো কষ্টের বুঝা নিয়ে সংসার চালাতে হবে। কারণ সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষিকাজের পণ্যসামগ্রী দাম বেড়ে যাওয়াতে লাভের সম্ভাবনা কম থাকে। সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করলে কৃষক লাভবান হবে। সিন্ডিকেট ও নির্দিষ্ট মিলারের মাধ্যমে নেয়া হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
[৪] এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নজরদারি করার দাবি জানান স্থানীয় কৃষকগন। কালবৈশাখের ছোবল, ঝড় বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই কৃষি বিভাগের যান্ত্রিক মেশিনগুলোর মাধ্যমে ধান কর্তন করা হলে আবাদকৃত জমির ধান ঘরের তুলা সহজ হবে অন্যথায় ফসল নষ্ট হবে। ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে কৃষকের।
আপনার মতামত লিখুন :