নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] 'আমি এনএসআই-এর ডিডি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করি। আমি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংক্রান্ত ইস্যুতে কাজ করছি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি কয়েক জন বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইতোমধ্যে কয়েকজনের মনোনয়নের বিষয়টি আমি নিশ্চিত করছি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে এনএসআই পরিচয়ধারী প্রতারক বলেন- "আপনার মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তাই আপনাকে ৫০ লাখ টাকা নগদ দিতে হবে। এরপর ভুক্তভোগীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল নামীয় একজন মহিলা কন্ঠের সাথে কথা বলিয়ে দেয় চক্রের সদস্যরা।
[৩] এভাবে গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহবাগ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি এলাকায় অবস্থানকালে মনোনয়ন প্রত্যাশী ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়কে (৬৩) হোয়ার্টঅ্যাপে কল করে এনএসআই-এর ডিডি মাহমুদুল হাসান নামীয় ব্যক্তি তার পরিচয় দিয়ে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
[৪] পরে ২৬ নভেম্বর মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হলে সেখানে তার নাম না থাকায় ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর ভুক্তভোগী দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
[৫] মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকরা হলেন- নুরুল হাকিম (৩১), হাসানুল ইসলাম জিসান (২২) ও মো. হারুন অর রশিদ (২৯)।
[৬] শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ( গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসএ