চঞ্চল পাল, পশ্চিমবঙ্গ: [২] ভারতীয় যুবককে বিয়ে করেছিল বাংলাদেশি মহিলা। তারপর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশে যায় যুবককে নিয়ে। দ্রুত ফিরে আসবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের ওই যুবকের রক্তাক্ত ছবি পাঠিয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল মোরাদাবাদের এক পরিবারের।
[৩] ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। ভারতে এসে উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়েও করেছিল এক মহিলা। সে নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছিল। পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির উছিলায় ওই যুবককে নিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। আর এখন পরিবারকে ওই যুবকের রক্তাক্ত ছবি পাঠিয়েছে ওই মহিলা। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে।
[৪] সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোরাদাবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে যুবকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে ওই মহিলার পরিচয় আদৌও আসল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
[৫] ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মোরাদাবাদের ছেলে অজয়ের। ওই মহিলা নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছিল। নাম বলেছিল জুলি। পরবর্তীতে মোরাদাবাদে এসে অজয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছিল। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অজয়ের মা সুনীতা জানিয়েছেন যে নিজের সঙ্গে ১১ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে এসেছিল ওই মহিলা। ওই কিশোরীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেছিল। তারপর হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে অজয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছিল বলে জানিয়েছেন অজয়ের মা।
[৬] পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির উছিলায় অজয়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল জুলি। কিন্তু তারপর থেকে অজয় আর দেশে ফেরেননি। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুনীতা জানিয়েছেন যে বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার কয়েকদিন পর অজয়ের ফোন এসেছিল। তিনি জানিয়েছিলেন যে ভুলবশত বাংলাদেশ চলে গিয়েছেন। ১০-১৫ দিনের মধ্যেই ফিরে আসবেন। তারপর দু’মাস কেটে গেলেও ছেলে ঘরে ফেরেননি বলে দাবি করেছেন অজয়ের মা।
[৭] একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুনীতা আরও জানিয়েছেন যে যে নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন অজয়, সেই নম্বর থেকেই ছেলের রক্তাক্ত ছবি পাঠানো হচ্ছে। তার আশঙ্কা, অজয়ের কোনও ক্ষতি করেছে জুলি। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য পুলিশ এবং ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সুনীতা।
[৮] পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোরাদাবাদের সিনিয়র পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন অজয়ের মা। ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়ে এবং ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা: এল আর বাদল
প্রতিনিধি/এলআরবি/এনএইচ