শিরোনাম
◈ টেকনাফে বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ◈ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, ১৪টি শহর বিদ্রোহীদের দখলে, নজর রাখছে চীন ও ভারত ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে: সালাহ উদ্দিন আহমদ ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্নির ◈ আমাদের উপদেষ্টা যারা দায়িত্ব পালন করছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়: মির্জা ফখরুল ◈ পরাজ‌য়ে শুরু, পরাজয় দি‌য়ে শেষ বাংলা‌দেশ দ‌লের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ◈ আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে: অমর্ত্য সেন ◈ ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘ঐতিহাসিক’ বলছে ইসলামাবাদ ◈ ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানাল এনসিটিবি

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৪ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবশেষে জানা গেল ঢাকার ধামরাইয়ে ট্রিপল  মার্ডারের আসল রহস্য!

দুই শ্যালক ও শাশুড়িকে হত্যার পর স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকেন রবিন। পূর্ব আক্রোশের জেরে রবিন হুসেন বালিশ চাপা দিয়ে পর্যায়ক্রমে ১৭ বছর বয়সি শ্যালক শামীম হোসেন, শাশুড়ি নার্গিস বেগম ও ছয় বছরের শ্যালক শরীফ হোসেনকে হত্যা করে। পরে তিনি নিজ বাড়ি কামারপাড়া গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হত্যাকারী রবিন হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির বরাত দিয়ে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কুদরত-ই খোদা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিবিআই জানায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নার্গিস আক্তারের মেয়ে নাসরিন আক্তারের স্বামী রবিন হোসেন টিনের দরজা খুলে শাশুড়ির ঘরে প্রবেশ করে। এর পর প্রথমে এক খাটে ঘুমিয়ে থাকা বড় শ্যালক শামীম হোসেনের (১৭) বুকের উপর উঠে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।

এরপর অপর খাটে শাশুড়িকে একই কায়দায় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিতের পর ছোট শ্যালক শরীফকেও একইভাবে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে সে নিজ বাড়ি কামারপাড়া গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে। স্ত্রী নাসরিন আক্তার বিন্দুমাত্র এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বুঝতে পারেনি।

পরদিন সকালে মাকে ও বড় ভাইকে বারবার তাদের মোবাইল ফোনে কল করে তাদের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে নাসরিনের মনে সন্দেহ হয়। পরে তিনি বাবার বাড়িতে যান তাদের সন্ধান নিতে। ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখেন- দুই খাটে তার দুই ভাই ও মায়ের লাশ পড়ে আছে।

এ ঘটনায় মামলার পর ঢাকা জেলা পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। তাদের তদন্তে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে। তারা জামাতা রবিন হোসেনকে গ্রেফতার করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রবিন হত্যার বিষয় স্বীকার করেন।

এরপর ঢাকা জেলা পিবিআই বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার কুদরতি খোদা।  সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়