শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টা গণভবনে আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ◈ পিএসজিকে হা‌রি‌য়ে দ্বিতীয়বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি ◈ মার্কিন শুল্ক: বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব, বেকারত্বের শঙ্কা ◈ ক্ষমতার চূড়ান্ত পরিণতি, শাসকদের জন্য যে শিক্ষা রেখে গেল হাসিনার পতন: স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয় ◈ সংবিধান, সংস্কার ও সমাধান: রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আইনজীবী শিশির মনিরের খোলা চিঠি ◈ হাইকোর্টে টিউলিপ সিদ্দিকের মামলা স্থগিত, আপিলের সিদ্ধান্ত দুদকের ◈ সঠিক পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ’—অর্থনীতিতে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক ◈ ডলারের দাম আরও কমেছে, বাড়ছে টাকার মান ও রিজার্ভ ◈ ঝালকাঠিতে এনসিপি’র গাড়িবহর আটকে দিলো বৈষম্যবিরোধীদের একটি পক্ষ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৫, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

ডলার ভাঙানোর কথা বলে প্রতারণার ফাঁদ, লুটের ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় ডলার ভাঙানোর কথা বলে ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় চক্রের সদস্য ইকবাল হোসেন (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার আসামি ইকবালকে রিমান্ড চেয়ে ঢাকা মহানগর আদালতে তোলা হলে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার গুলশান থানার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি সুইস গিয়ার ও একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস যাহা দ্বারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। 

ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, গত ২৭ মে ভিকটিম  বদরুল আলম বাপ্পি ও  রমজান আলীকে ফোন করে ২৯ হাজার ডলার মানি এক্সচেঞ্জ করবেন বলে জানায় চক্রটি। ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ক্যাশ আনতে ভিকটিমদের বলা হয়।  আসামিদের সঙ্গে ভুক্তভোগিরা পূর্বে দুইবার লেনদেন করে। সেই বিশ্বাস থেকে  ৩৭ লাখ  ১৯ হাজার টাকা ক্যাশ নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের এক নম্বর রোডে ৫১১ নম্বর বাসায় যান তারা। বাসাটি আসামিদের সাময়িক সময়ের জন্য ভাড়া করা ছিলো। টাকা নিয়ে বাসায় গেলে  চক্রের সদস্যরা দরজা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি লাইট অফ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আগে থেকে ওই বাসায় চক্রের  ১২ থেকে ১৬ জন সদস্য অবস্থান করছিলো। পরে তারা  ভিকটিমদের জিম্মি করে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন।  হাত এবং পা বেঁধে ফেলে পরবর্তীতে  স্কচ টেপ পেঁছিয়ে ফ্লোরে ফেলে মারতে থাকে এবং ইলেকট্রিক শর্ট দিতে থাকে। পরবর্তীতে ভিক্টিমদের সঙ্গে  থাকা কালো ব্যাগের ভিতর ক্যাশ ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা,  তিনটি মোবাইল ফোন এবং ভিকটিমের মোটরসাইকেল নিয়ে তারা পালিয়ে যায় তারা। 

সুজন হক বলেন, পরবর্তীতে ভিকটিমদের একজন আরেকজনের বাঁধন খুলে দিলে তাহারা চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে তাহাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বদরুল আলম বাপ্পি বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলার করে।

তিনি আরও বলেন, এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই  ইকবাল হোসেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ইয়াসিন সিকদারের  বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ১৩ লাখ  টাকা উদ্ধার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও  মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়