কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দ্রখানা উপজেলা গেট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুএ শফিউল আলমকে যাব্বজীবন কারাদন্ড দিয়েছে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালত।
একই গ্রামের মুকুল মিয়ার মেয়ে তৎকালীন ফুলবাড়ি জছিমিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাএীকে শফিউল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
মামলার এজাহার সুএে জানা যায় মুকুল মিয়ার বাড়িতে গত ২০১৩ সালের মার্চ মাসের ১২ তারিখে লোকজন অনুপস্থিত থাকার সুবাদে একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুএ শফিউল আলম ভিকটিমকে চানাচুর হাতে দিয়ে তাঁর নিজ বাড়ির ঘরে ঢুকিয়ে হাত দিয়ে মুখ চেঁপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় মেয়েটির চিৎকারে তাঁর মা দৌড়ে এলে শফিউল আলম দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ২০১৩ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখে ফুলবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নম্বর ৫।
দীর্ঘ ১২ বৎসর মামলা চলার পর গতকাল ২৯ শে জুলাই'২৫ কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস ধর্ষক শফিউল আলমকে যাব্বজীবন কারাদন্ড প্রদান করে।
দেরিতে হলেও মামলা তদন্ত সাপেক্ষে এরকম জঘন্যতম অপরাধের রায়ে কুড়িগ্রাম জেলাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান বলেন,আইনের প্রতি মানুষের সর্বদা শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস আছে এবং থাকবে। এজন্য মানুষ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে সঠিক ও ন্যায়বিচার পাচ্ছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম (অনিরুদ্ধ রেজা) বলেন,আমরা সাংবাদিক ও জেলাবাসীর পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা জজ কোর্টের বিচারকগণকে সাধুবাদ জানাই। দীর্ঘ ১ যুগ ধরে মামলা চলার পর এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক রায় দেশের আইনের শাসনকে মজবুত করণের প্রক্রিয়াকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।