শিরোনাম
◈ ভুটানের লি‌গে খেলছেন ঋতুপর্না চাকমা, এবার অস্ট্রেলিয়ান লিগে খেলার প্রস্তাব পেলেন ◈ জুমার দিন: রহমত, বরকত ও অশেষ সওয়াবের সুবর্ণ সুযোগ ◈ আজীবনের জন্য বাহরাইনে স্থায়ী ব্যবসার ও বসবাসের সুযোগ, মাত্র ৫ দিনার ফিতে! ◈ জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে আজও শাহবাগ মোড়ে জুলাই যোদ্ধারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিকে ঐতিহাসিক কূটনৈতিক বিজয়: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংলাপে পিআর নি‌য়ে উত্তেজনা, হুদা ‘স‌রি’ বলার পর শান্ত এন‌সি‌পি নেতারা (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে নেচে যাওয়া সেই নোয়েল ভারতে গিয়ে আটক হলেন ◈ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনায় ১১ অঞ্চলে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ শার্শায় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ◈ সরকারের এক্সিট প্ল্যান, না বিএনপির ‘বিস্কুট দৌড়’?

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০১:২০ দুপুর
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে

যেকোনো অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সর্বদা তার এক্সিট পলিসি (নিষ্ক্রমণ পদ্ধতি) সম্বন্ধে চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এই সরকারেরও (অন্তর্বর্তী সরকার) সময় এসে গেছে এক্সিট পলিসি চিন্তা করার। একইসঙ্গে যেটুকু সময় আছে, এর ভেতর দিয়ে এই সরকার আর কী অর্জন করে বের হয়ে যেতে চায়, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মধ্যদিয়ে সেইটাও বলার সময় এসেছে। গতকাল ৩০ জুলাই বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমার পিসিমা একটা কথা শিখিয়েছেন, ‘যতখানি খেতে পারবে, অতখানি কামড় দিও। যেটুকু চাবাতে পারবে না, অত কিছু মুখে নিও না।’ আপনি কতোখানি সংস্কার করতে পারবেন এবং কতোখানি সংস্কার এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন- সেইটা মনে রাখতে হবে।

চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে অনেক সংস্কার অসম্পূর্ণ থাকবে, অনেক সংস্কার পরের সরকার করবে। এইটা আপনাকে মেনে নিয়ে আগামীতে ধারাবাহিকতার ভেতরে থাকতে হবে। এইটা না করলে যদি আমি না করি, তাহলে ‘সংস্কার’ ‘সংস্কার’ বলে আমি আবার বিভিন্ন অসংস্কারী কাজের ভেতরে যুক্ত হয়ে যেতে পারি। ‘সংস্কারবাদী’ শব্দটা আবার বাজারে ফিরে এসেছে। এক-এগারোর পরে এটা খারাপ হয়ে গেছিল। ইদানিংকালে সংস্কারবাদী বললে এখন আর অতো খারাপ বলে না। এখন অবশ্য ফ্যাসিবাদী বলে।

তিনি বলেন, আগের তিনটা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তাদের প্রত্যেকেরই একটা নিষ্ক্রমণ পথ ছিল। অর্থাৎ ‘এক্সিট পলিসি’ যেটাকে বলে। জিয়াউর রহমান যখন দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন উনার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী বা অন্যান্য বিষয় এগুলোকে বৈধতার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। পার্লামেন্ট কাজ করেছে উনার পক্ষে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি দিয়ে অষ্টম সংশোধনী পর্যন্ত যে সমস্ত বিষয় ছিল, এটাকে উনি বৈধতা দিতে পেরেছেন।

এক-এগারোর সরকারের দিকে তাকালে দেখা যায়, যেই সরকারটি এসেছিল, সেই সরকারটি কিন্তু ওই ফখরুদ্দিন আহমদের সরকারের অনুগমনে হয়েছিল। সেহেতু উনাদের বৈধতার ক্ষেত্রে কিন্তু খুব বেশি সমস্যা হয়নি। বর্তমান সরকার যে কাজকর্মগুলো করেছে, আগামী সরকার সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দিবে কিনা- এই বিষয় কিন্তু এখনো সামনে রয়ে গেছে।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সরকার গঠন, সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চললেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপি প্রচলিত সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির দাবি করছে।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, শুধু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমরা যে চিন্তিত, সেটা না। কী কী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই সরকারকে আমরা নিয়ে এসেছিলাম, সেইটা সমাপনের ক্ষেত্রে কী কী করে যাচ্ছেন এবং আগামী সরকারের জন্য কী কী রেখে যাচ্ছেন- এই স্বচ্ছ বক্তব্য দিতে হবে। একটা ‘এক্সিট টাস্ক রিপোর্ট’ করার একটা সময় এসে গেছে।

সভায় আরও অংশ নেন বিশিষ্ট নাগরিক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বক্তারা সুশাসন, গণতন্ত্র ও নীতিনির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়-দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিভিন্ন সময়ে ২৬টি দেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল, সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে সেমিনারে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস’-এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। সূত্র: মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়