হাবিবুর রহমান সোহেল, কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন থেকে ডাকাত শাহিন বাহিনীর প্রধান সহযোগী নুরুল আবছার (৩৪)কে বিপুল অস্ত্রসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি সদস্যরা গর্জনিয়ার বোমাংখিল গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৪টি দেশীয় একনালা বন্দুক, ১টি দেশীয় দুইনালা বন্দুক, ৮ রাউন্ড গুলি, এবং ৬টি খালি খোসা জব্দ করা হয়।
আটক নুরুল আবছার ওই গ্রামের ফরিদুল আলম ওরফে দানা ফরিদের ছেলে। তিনি হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও সীমান্ত চোরাচালান চক্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
নুরুল আবছার সম্প্রতি সীমান্তের জামছড়ি বিওপি এলাকা থেকে জব্দকৃত ৯,৬৬০ পিস বার্মিজ ইয়াবার মামলার অন্যতম পলাতক আসামি ছিলেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ গর্জনিয়ার থিমছড়ি এলাকায় তালেব হত্যাকাণ্ডেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি বিজিবির।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নুরুল আবছার গর্জনিয়া বাজারে কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, তালেব হত্যা মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসবে।
এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবছারের পিতা দানা ফরিদ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও গর্জনিয়া বাজারে অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়দের মতে, তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো জরুরি।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. কে. এম. কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “ডাকাত শাহিনের সহযোগী নুরুল আবছার সীমান্ত ও পাহাড়ি এলাকায় গরু ও মাদক চোরাচালানে জড়িত। তিনি শাহিনের মিয়ানমার থেকে আনা গরুর খামারের ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করতেন। বর্তমানে শাহিন বাহিনীর বিভিন্ন অপরাধমূলক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আবছার সক্রিয় ছিল।”