ডয়চে ভেলে: গত কয়েকদিন ধরে আলোচনায় আছে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি। সংশয় তৈরি হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এই সরকারের সব সংস্কারের বৈধতা দেবে কিনা তা নিয়ে৷ তাই উঠে এসেছে 'দায়মুক্তি'র প্রসঙ্গ।
সরকার আদৌ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবে, নাকি বিএনপির জন্য 'বিস্কুট দৌড়-'এর আয়োজন করবে- উঠছে এমন প্রশ্নও।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগের তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যেকের একটা নিষ্ক্রমণ পথ (এক্সিট পলিসি) নির্ধারিত ছিল বলে তাদের কাজকর্মের বৈধতার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। কিন্তু আগামী সরকার এই সরকারের কাজগুলোর সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কিনা, এই বিষয়ে প্রশ্ন এখনো সামনে রয়ে গেছে। কী কী করে যাচ্ছেন আর আগামী সরকারের জন্য কী কী রেখে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ বক্তব্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার কী পদ্ধতিতে যাবে, সেটা এখন স্পষ্ট করা জরুরি। এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে। যেটুকু সময় আছে, এর ভেতর দিয়ে এই সরকার কী অর্জন করে বের হয়ে যেতে চায়, জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সেটাও বলার সময় এসেছে।
দেবপ্রিয় বলেন, আমার পিসিমা একটা কথা শিখিয়েছেন, যতখানি খেতে পারবে, অতখানি কামড় দিয়ো। যতটুকু চাবাতে পারবে না, অত কিছু মুখে নিয়ো না।
ডেমোক্র্যাসি ডায়াস নামের একটি সংগঠনের আয়োজন করা ওই সেমিনারে রাজনৈতিক নেতারাও অংশ নেন। অংশ নেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা সরকারের দায়মুক্তির বিষয়টিও সামনে আনেন।
ডেমোক্র্যাসি ডায়াস-এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন সেমিনারে বলেন, ২৬টি দেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল, সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ মাসের বেশি যেসব অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়, তাদের সফলতা তুলনামূলকভাবে কম।
বৃহস্পতিবার আবদুল্লাহ আল মামুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, আসলে অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের যে অস্বচ্ছ কথা, তাই সংকট তৈরি করেছে। আসলে বিশ্বে যেসব অন্তর্বর্তী সরকার সফল হয়েছে, তারা নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে।
এক্সিট প্ল্যান কেমন হতে পারে
সেমিনারে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রেসার তৈরি হচ্ছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের এখন এক্সিট প্ল্যান দরকার। একটা হতে পারে, নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তাদের হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে চলে যাওয়া। তবে সেটা না-ও হতে পারে। ড. ইউনূসের অধীনে নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি। সেখানেও এক্সিট প্ল্যান লাগবে। লাগবে দায়মুক্তি। কারণ, এই সরকারের অনেক কাজের বৈধতা পরবর্তী সরকার না-ও দিতে পারে। ফলে তার জন্য ভালো হবে তার সরকারে এনসিপিপন্থি যেসব উপদেষ্টা আছে বা বিতর্কিত যেসব উপদেষ্টা আছে, তাদের পদত্যাগ করিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা। সেটা হলে তার জন্য এক্সিট সহজ হবে।
'তবে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের খেলা আছে। সেই খেলার মাধ্যমে হয়তো সরকার চাইবে ফেব্রুয়ারি মধ্যে নির্বাচন না দিতে। তবে যেভাবে চাপ বাড়ছে, তাতে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে বলে আমার মনে হচ্ছে।'
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে?
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অল্প সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের' বয়ানে পরিবর্তন হয় বিনএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার লন্ডন বৈঠকের পর।
১৩ জুন ওই বেঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় সংস্কার শেষ হওয়া সাপেক্ষে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু এরপর প্রধান উপদেষ্টা নিজে থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে আর কোনো কথা বলেননি। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশনকে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা বলা হয়। নির্বাচন কমিশনও সীমানা নির্ধারণসহ নির্বাচনি প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন ঠিক কবে বা নির্বাচনের তফসিল ঠিক কবে হবে, তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কথা নেই।
গত ২৬ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠকের পর জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ক্যাটাগরিক্যালি (সুস্পষ্টভাবে) বলেছেন, তিনি আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা, তারিখ ঘোষণা করবেন। আলোচনার সবচেয়ে ফলপ্রসূ বিষয় হচ্ছে এটা। দেশে যে অরাজকতা, তার একমাত্র সমাধানের পথ নির্বাচন- এটা সরকার বুঝতে পেরেছে।
তারপর পাঁচদিন হয়ে গেলেও প্রধান উপদেষ্টার সেই ঘোষণা আসেনি।
আর মোস্তফা জামাল হায়দারের ওই কথার পরদিন, ২৭ জুলাই জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কথায় আমরা বলতে পারি না দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে। সরকার একা তারিখ ঘোষণা করতে পারে না। সরকারের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
জামায়াত ১৯ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করে যে সাত দফা দাবি দিয়েছে তা হলো:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার। ২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার। ৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন। ৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন। ৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন। ৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ। ৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিতকরণ। ওই সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এনসিপি ও ইমলামী আন্দোলন বাংলাদেশহ আরো কিছু রাজনৈতিক দল ওই সমাবেশে অংশ নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, আমরাসহ আরো অনেকেই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। বিএনপি এর বিরুদ্ধে। আমরা মৌলিক সংস্কার, বিচার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। সেগুলো না করে যেনতেন নির্বাচনের কোনো মানে হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের কথা বলেছে বলে তো আমরা শুনিনি। তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর আমরা শুনেছি, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করা সম্ভব হলে আগামী রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে। এটা তো শর্তসাপেক্ষ।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের সমালোচনা করেছে জামায়াত এবং এনসিপি। তারা মৌলিক সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে শক্ত অবস্থানে আছে। আর সংস্কার নিয়েও দলগুলোর মধ্যে আছে মতানৈক্য। জামায়াত ও এনসিপি জুলাই ঘোষণাকে আইনি কাঠামোর মাধ্যমে বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা চাইছে। কিন্তু বিএনপি তাদের সঙ্গে একমত না।
বৃহস্পতিবার জুলাই সনদের জন্য শাহবাগে অবস্থান নেন 'জুলাই যোদ্ধারা'। জুলাই সনদকে স্থায়ী বিধানে যুক্ত এবং তা বাস্তবায়নের দাবিকে এই অবস্থান নিয়েছে 'জুলাই যেদ্ধা সংসদ'। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগেই অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে এনসিপি আগামী ৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ২৭ জুলাই বলেছেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এর আগে লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করতে হবে। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, আসলে জুলাই বিপ্লব শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি। মৌলিক সংস্কার, বিচার, জুলাই সনদ- এগুলো আগে করতে হবে। এগুলো ছাড়া নির্বাচন কোনো ভালো ফল দেবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন তো আমরা চাই। আর নির্বাচনের তো কোনো তারিখ পড়েনি। তাহলে পেছানোর প্রশ্ন কেন আসছে?
এক্সিট প্ল্যান ও বিস্কুট দৌড়
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, সরকার বিএনপির সঙ্গে বা যারা নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে এক ধরনের বিস্কুট দৌড় খেলার চেষ্টা করছে। একবার নির্বাচনের কথা বলছে। আবার চুপ থাকছে।
তার কথায়, তারপরও যদি সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে, তাহলে আর ছয় মাস আছে। ফলে তার এখনই এক্সিট প্ল্যান দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা উচিত। আর তার দায়মুক্তি লাগবে। কারণ, সে এরইমধ্যে এমন কিছু কাজ করেছে, যার জন্য দায়মুক্তির প্রয়োজন পড়বে। সংবিধানও লংঘন করেছে। যেমন, সংসদ ভাঙার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু সরকার তা করেনি। তার মেয়াদ তো সাংবিধানিক না। প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর এবং উপদেষ্টারা মন্ত্রীর ক্ষমতা ও সুবিধা নিচ্ছে। তারা কোন আইনে নিচ্ছে? এগুলো নিয়ে তো পরে প্রশ্ন উঠবে।
তার কথা, এই সরকার কিন্তু তাদের দায় মুক্তি বা বৈধতা নিয়ে একটা অধ্যাদেশ আগেই জারি করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেই অধ্যাদেশে সই না করায় সেটা আর হয়নি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এখন সরকারের মধ্যে একটা সরকার আছে। তারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়। সরকারের বাইরেও কিছু রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থে নির্বাচন পেছাতে চায়। ফলে ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে বিএনপির জন্য বিস্কুট দৌড়ের খেলা থাকতেও পারে।
আর সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, সরকার যে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দেবে, এটা কিন্তু বিএনপিকে এখনো স্পষ্ট করে বলেনি। বিএনপিকে আশ্বস্ত করার জন্য লন্ডন বৈঠকে শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আমার মনে হয়, সরকার বিএনপিকে টেনশনে রাখতে চায়। তারা বিএনপিকে কিছু বলে, আবার চুপ থাকে। বিএপিকে দাবা খেলার মতো ওয়েটিং মুভ-এর চাল দেয়। কি প্রতিক্রিয়া হয় তা দেখে। আবার কিছু লোক বলে, সরকার চায় বিএনপি একটি ভুল করুক। তারা তার সুবিধা নেবে। আমার মনে হয় এটা সরকারের বিএনপির সঙ্গে একটা খেলা।
'আর বিএনপিও মনে করছে তারা নির্বাচনের জন্য চরম কিছু করলে হয়তো তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে। সাধারণ মানুষ মনে করবে বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। সেই সুযোগ নিচ্ছে সরকারের ভিতরের একটি অংশ এবং তাদের বাইরের সহযোগী রাজনৈতিক শক্তিগুলো।'
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিস্কুট দৌড়ের কথা শুনে হেসে বলেন, রাজনীতি কোনো খেলা নয়। কারো ভিতরে ওই ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে বিএনপি দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা চায়। কোনো অস্থিরতা চায় না। ফলে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার অবস্থান প্রকাশ করছে। প্রধান উপদেষ্টার কথায় ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে আস্থা রাখছে। তবে সেটা না হলে বিএনপি দেশের মানুষের স্বার্থে যা যা করার সব কিছু করবে।'
তার কথা, একটি শক্তি, যারা সরকারের ভিতরে আছে, বাইরেও আছে, তারা নানা খেলা খেলছে। কিন্তু সরকারের এখন এক্সিট প্ল্যান ঘোঘণার সময় এসেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষ হবে। সংসদের উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও বিএনপি স্ট্রং নোট অব ডিসেন্ট দিয়ছে। ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ সই হতে পারে। সংবিধান সংস্কারের ব্যাপারে ২০টি পয়েন্টের মধ্যে ১৪-১৫টি পয়েন্টে ঐকমত্য হয়েছে। এরপর তো নির্বাচন ছাড়া কোনা কাজ নাই এই সরকারের। বিচার তো একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তারপরও নির্বাচনের বিরুদ্ধে ভিতরে বাইরে নানা উসকানি আছে।
তার কথা, সরকারের এখন পুরোমাত্রায় নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। না হলে সংকাটময় পরিস্থিতি হবে। আর এই সরকারের এক্সিট প্ল্যানও ঘোষনা করা দরকার। দায়মুক্তির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে।
সরকার যা বলছে
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। সবাই ভোট দিতে পারবে।
আর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামী নির্বাচনের বিষয়ে যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একদিনও দেরি হবে না৷ আগামী পাঁচ-ছয় দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী পাঁচ-ছয় দিনে বোঝা যাবে আমরা কোথায় যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণের হয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন হারুন উর রশীদ স্বপন। এই প্রতিবেদনের সব ধরনের দায়ভার ডয়চে ভেলের।