জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন গ্রামে বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির চাপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গভীর খালে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা। পাশের খেতের কোমরপানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ ছাড়া একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গত শনিবার বিকেলে পানির চাপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে পাঁচ দিন ধরে একই অবস্থায় বিরাজ করছে। এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়কটি ঘেঁষেই পূর্বপাশে সরু খাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারের সময় প্রতিবারই সড়কটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি এখন প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ খালের আকার ধারণ করেছে। এ কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কের পশ্চিম পাশের কোমরপানি মাড়িয়ে কষ্ট করে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়-বাড়ি যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে। আশপাশের কাঁচা সড়কগুলোও নষ্ট, এতে সেসব রাস্তাও ব্যবহারের অনুপোযোগী। কেউ একজন অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ নেই। জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এনামুল হক ও স্কুল ছাত্র আরমান হোসেন বলেন, তীব্র জোয়ারের চাপে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাঙনটি খালে পরিণত হয়েছে। আমাদের মসজিদের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত উজ জামান বলেন, পানির চাপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার হওয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করব, যেন পানি যাওয়ার একটি ব্যবস্থা হয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমরা অবহিত করব।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, সড়ক বিচ্ছিন্নের খবর পেয়ে এলজিআইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।