স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পিএসএল এর সর্বশেষ আসরের জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রায় ৯৭ কোটি রুপি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে আর্থিক হিসাব ও কাঠামোগত জটিলতার কারণে পুরো প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। --- ক্রিকফ্রেঞ্জি
সম্প্রতি ফাইন্যান্স কমিটির একটি বৈঠকে পিসিবি জানায়, প্রতিটি দল কেন্দ্রীয় আয় ভাণ্ডার থেকে আনুমানিক ৯৭ কোটি রুপি পাবে। তবে এর মধ্যে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক এবং সফর বা আবাসনের মতো অপারেশনাল খরচ অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়া দলভিত্তিক স্পন্সরশিপ থেকেও আলাদাভাবে আয় হিসেব করা হচ্ছে।
এই রাজস্ব আয় সত্ত্বেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে মুলতান সুলতান্স। দলটি প্রতি মৌসুমে এক হাজার কোটি রুপির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেয়। যদিও বাকি দলগুলো লাভেই থাকবে বলে সংবাদ প্রকাশ করছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম। অবশ্য চূড়ান্ত হিসাবপত্র এখনও প্রক্রিয়াধীন, ফলে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
কিছু দল এখনও তাদের সম্পূর্ণ হিসাব জমা না দেয়ায়, খেলোয়াড়রা এখনও তাদের চুক্তিভিত্তিক পারিশ্রমিকের শেষ ৩০ শতাংশের জন্য অপেক্ষা করছেন। সাধারণত চুক্তির ৭০ শতাংশ টাকা টুর্নামেন্ট চলাকালীন দেয়া হয়। আর বাকি ৩০ শতাংশ দেয়া হয় ফাইনালের পর। এই অর্থ পরিশোধের দায়িত্ব পিসিবির।
যারা ইনজুরির কারণে ম্যাচ মিস করেন, তারা ৫০ শতাংশ ফি পান। আর যারা একেবারেই খেলার সুযোগ পাননি, তারা পান ২০ শতাংশ। যদিও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি এসব কাটছাঁটের নিয়ম অনুসরণ করে না। এমনকি জাতীয় দলের মতো কেউ কেউ পারফরম্যান্স বোনাস সমানভাবে ভাগ করে দেয়ার নীতিও অনুসরণ করছে।
অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় ধীরগতি এবং মানবসম্পদ ঘাটতির কারণে এসব আর্থিক বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে। নতুন চিফ অপারেটিং অফিসার সালমান নাসের এখন এশিয়া কাপ সংক্রান্ত দায়িত্বে ব্যস্ত থাকায় পিএসএল সংক্রান্ত কাজকর্ম থেমে আছে। এখন পর্যন্ত তিনি মাত্র দু’জনের একটি প্রশাসনিক দল গঠন করেছেন, যা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এ ছাড়া প্লেয়ার কনট্রাক্ট ও দল গঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা শোয়েব খালিদের পদত্যাগ পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। সামনে একাদশ আসর শুরু হওয়ার আগে এখনও স্পন্সরশিপ, মিডিয়া স্বত্ব, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও নতুন দুটি দলের অন্তর্ভুক্তি—সবই অনিষ্পন্ন অবস্থায় আছে।
তবে পিসিবি জানিয়েছে, ৫ জুলাইয়ের পর বাকি থাকা ৫০ শতাংশ রাজস্ব শিগগিরই পরিশোধ করা হবে এবং খেলোয়াড়দের পাওনা টাকাও দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।