শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেয়রের বিকৃত যৌন ভিডিও ভাইরাল

সাইফুর রহমান সাইফার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের বিকৃত যৌন ভিডিও চ্যাটিং ভাইরাল হয়ে এখন ফেসবুক আর ইউটিউবে ঘুরছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিব্রত। ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ জনগণ, ও সুশীল সমাজ। 

যদিও মেয়র সাইফার ভিডিওটি সুপার এডিট করে তাকে মানুষের কাছে ছোট করার চক্রান্ত বলে দাবি করছেন। তিনি বলছেন, সামনে আমার নির্বাচন এই কারণেই একটি মহল আমাকে সামাজের কাছে হালকা করার জন্য এই জঘন্যতম কাজটি করেছে। তিনি বলেন, ধারণা করছি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আলী আশরাফ ঝন্টু শত্রুতা করে এ কাজ করে থাকতে পারে।

মেয়রের অভিযোগের ব্যাপারে আলী আশরাফ ঝন্টু বলেন, এটা ভিত্তিহীন কথাবার্তা। আমি কেন এটা করতে যাবো। আমার সামনে নির্বাচন তাইতো বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মেয়র আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, মেয়র সাইফার ভিডিও চ্যাটিংয়ে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন একজন নারীকে। ওই নারী তার শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ আবার আওয়ামী লীগ নেতা সাইফারকে প্রদর্শন করছেন।

উভয়ে যৌন উত্তেজক কথাবার্তাও বলছেন। হঠাৎ এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ভাবে ক্ষোভ ও বিব্রতকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের যৌন ভিডিও দেখে মর্মাহত হয়েছি। এটি আওয়ামী লীগ ও জনগণের জন্য লজ্জা।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অবশ্যই লজ্জার এবং বিব্রতকর। যে কোন জনপ্রতিনিধির জন্য এটি অপমানের, তিনি এর সঠিক তদন্তের দাবি করেন।

বিকৃত যৌন ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের বলেন, এটা দলের জন্য বিব্রতকর। তবে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে সেটি অস্বাভাবিক নয়, তবে এটা ভাইরাল করা ঠিক হয়নি। ঘটনাটির জন্য আমিও লজ্জিত । 

নির্বাচিত আওয়ামী লীগের পৌর মেয়রের এই ধরনের ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইসতিয়াক আরিফ জানান, এটা দলের জন্য বিব্রতকর, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ব্যক্তি অপরাধের দায় দল নেবে না। 

প্রসঙ্গত, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ২০২০ সাল থেকে অনুসন্ধান চলছে (নথি নং-১১৯/২০২০)। এই অনুসন্ধান এখনো চলমান।এছাড়াও মেয়রের দুই ভাই জাপান ও ওসমান মোল্যার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুলিশকে মারধর ও সাংবাদিক নির্যাতনের মামলাও আছে।

প্রতিনিধি/এএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়