মাসুদ আলম: [২] সোমবার ভোরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি নদীর পাড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মুক্তা আক্তার সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বাড্ডা থানা পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠালে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৩] বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী বলেন, উত্তর বাড্ডার বাজারগলি এলাকার শিশু মরিয়মের মায়ের সঙ্গে একটা বেসরকারি ফাউন্ডেশনে কাজ করার সুবাদে সুমাইয়ার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে সুমাইয়া ভিকটিমের ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন। শিশুটির বাবা শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশনে কাজ করতে যান। তার অনুপস্থিতিতে সুমাইয়া রাত সাড়ে নয়টায় তাদের বাসায় এসে থাকবে বলে জানায়। শিশুটির মা সরল মনে তাকে থাকতে দেয়।
[৪] পরদিন রোববার সকাল সাড়ে আটটায় স্মুাইয়া শিশু মরিয়মকে পাশের দোকানে পাউরুটি খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। সকাল সাড়ে দশটায় শিশুটির বাবার মোবাইলে কল দিয়ে কান্নার আওয়াজ শোনায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে দশ হাজার টাকা দাবি করে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
[৪] তিনি আরও বলেন, শিশুটির বাবা দেরি না করে পুলিশের সাহায্য নেন। এরপর বাড্ডা থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান কয়েকবার নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জের একটি নদীর পাড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
[৫] ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা শিশুটিকে উদ্ধার করে মা-বাবা কোলে ফিরে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত, তাই যেকোনো ধরনের অপরাধচক্রকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। সম্পাদনা: এম খান