মোস্তফা কামরুল, ফটিকছড়ি: [২] চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। উপজেলার হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হওয়া এই জাপানি মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি। প্রতিবছর মাঘ মাসে মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারীর ওরশে ঘিরে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ভান্ডারী মুলা হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। সারাদেশে থেকে আসা ভান্ডারী ভক্তগোষ্ঠী এই মুলা ক্রয় করে নিয়ে যায়।
[৩] সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হালদা, সর্তা ও ধুরুং খালের পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি মুলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। হালদার চরে বছরে এ মুলা তিন থেকে চারবার পর্যন্ত চাষ হয়। ফলে মুলা চাষ করে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। একেকজন কৃষক ৩ মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করছে।
[৪] চাষিরা জানান, ভান্ডারী মুলা একেকটির ওজন সর্বোচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় আকারের এই মুলা দামে সস্তা ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাইজভান্ডার দরবার শরিফের ওরসের দিন এ মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে।
[৫] ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছানুজ্জামান বলেন, ফটিকছড়িতে এবার ৩৭৯ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে।অন্যান্য এলাকার চেয়ে হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি। পাহাড়ী ঢলে ভেসে আসা নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে মুলার আকৃতি সধারণ মুলা থেকে ৮/১০ গুণ বড় হয়। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
প্রতিনিধি/একে