শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩৭ দুপুর
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজিতপুরের গ্রামের আছর আলীর বিশেষ উদ্যোগ, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চা সেবা দিচ্ছেন

বিনামূল্যে চা সেবা দিচ্ছেন

শাহীন খন্দকার: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের আছর আলী। মুক্তিযোদ্ধারা তার কাছে অতিথি। তাই মুক্তিযোদ্ধারা তার দোকানে এলে তাদের কাছে  থেকে তিনি টাকা বা পয়সা নেন না।

আছর আলীর ছোট্ট চায়ের দোকান ধনবাড়ী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বাজিতপুর গ্রামের দোকান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়েই তার সংসার চলে। কিন্তু,শুরু থেকেই তার দোকানে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে একটাও পয়সা নেন না তিনি। তাারা চা, পান, কেক যাই খান না কেন টাকা নেওয়া হয়না তাদের কাছে থেকে। 

আছর আলী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি বাড়ির সামনেই ১৯৮২ সালে চা দোকান করেন। তিনি ঘোষণা দেন তার দোকানে মুক্তিযোদ্ধাদের চা খেতে টাকা দিতে হবে না। সেই থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। তিনি তাঁর দোকানের নাম রেখেছেন, ‘মুক্তিসেবা টি স্টল’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই এই নাম তিনি দিয়েছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেতে লড়াই শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, আজকের বাংলাদেশে। যখন এই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন আছর আলীর বয়স ছিল ১০ বছর। তিনি দেখেছেন তাদের এলাকায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছেন যুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গণে লড়াইয়ে অনেকেই শহীদ হয়েছেন, আবার অনেকেই যুদ্ধে আহত হয়ে ফিরে এসেছেন গ্রামে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের দেখলেই সম্মান জানাতেন তিনি। হাতে টাকাপয়সা থাকলে তিনি তাদের চা বা পান খাওয়াতেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের একই রকম শ্রদ্ধা এবং সম্মান করেন আছর আলী। এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ চা পান করে জোর করে টাকা দিতে চাইলেও আছর আলী তা নেন না। প্রতিদিনই কোনও না কোনও মুক্তিযোদ্ধা আসেন এই চায়ের দোকানে।

আছর আলী বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সঙ্গে পরিসেবা দেন তিনি। বছর তিনেক আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আছর আলীর। এতে তার এক পাশ অবশ হয়ে যায়। এখন অন্যের সাহায্য নিয়ে চায়ের দোকানটি চালান তিনি। তার দুই ছেলে কাজ করেন ঢাকায় পোশাক তৈরির কারখানায়। টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বলেন, আছর আলীর চা দোকানটি খুব ছোট্ট। তার খুব কম টাকাই লাভ হয়। অথচ চার দশক ধরে বিনা পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চা-খাওয়াচ্ছেন তিনি। অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ আছর আলী। তাই গ্রামের সবাই  স্নেহের চোখেই দেখেন।


এসকে/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়