মোশতাক আহমেদ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আনিস, বিএনপি নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদল নেতা মাসুম গাজী, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০/৫৫ নেতাকর্মী লাঠিসোটা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে ও স্লোগান দেয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মিছিল থেকে ৩/৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ টুকরা লাল টেপে মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাঁচের অংশ।
এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের করার অভিযোগে বিএনপির ৩৬ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন।
প্রতিনিধি/জেএ