এ সমস্যা সমাধানে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়ক প্রশস্ত করণে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার প্রকল্প এর কাজ হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ইতিমধ্যে দরপত্র শেষে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। সবকিছু অনুকূল থাকলে দ্রুত সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ ২০২৬ সালের মার্চ মাসে শেষ হবে।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাজেক পর্যটক কেন্দ্র সহ দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষও এই পথে যাতায়াত করে। কিন্তু ১২ ফুটের রাস্তায় ১৮ কিলোমিটারের এ সড়কে বাঁক রয়েছে ৫২টি। ভৌগলিক গঠনের কারণে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ সড়ক আঁকাবাঁকা। ১৯৮০ সালে নির্মিত এসব সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উঁচু নিচু সরু সড়কে ট্রাক, বাস ও পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পরে চালক ও যাত্রীরা। সাজেকগামী পর্যটকবাহী যানবাহন সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় বেড়েছে ভোগান্তিও। যার কারণে আঁকাবাঁকা সরু সড়কে যাতায়াতের সময় লাগে বেশি। সড়ক ছোট হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন তৈরি হয়। সড়ক প্রশস্তকরণ স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে সড়কটি দুই পাশে আরো ছয় ফুট বড় হচ্ছে। সড়ক প্রশস্ত করণের খবরে খুশি স্থানীয়রা।
এ সমস্যা সমাধানে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়ক প্রশস্ত করণে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার প্রকল্প এর কাজ হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ইতিমধ্যে দরপত্র শেষে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। সবকিছু অনুকূল থাকলে দ্রুত সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ ২০২৬ সালের মার্চ মাসে শেষ হবে।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাজেক পর্যটক কেন্দ্র সহ দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষও এই পথে যাতায়াত করে। কিন্তু ১২ ফুটের রাস্তায় ১৮ কিলোমিটারের এ সড়কে বাঁক রয়েছে ৫২টি। ভৌগলিক গঠনের কারণে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ সড়ক আঁকাবাঁকা। ১৯৮০ সালে নির্মিত এসব সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উঁচু নিচু সরু সড়কে ট্রাক, বাস ও পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পরে চালক ও যাত্রীরা। সাজেকগামী পর্যটকবাহী যানবাহন সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় বেড়েছে ভোগান্তিও। যার কারণে আঁকাবাঁকা সরু সড়কে যাতায়াতের সময় লাগে বেশি। সড়ক ছোট হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন তৈরি হয়। সড়ক প্রশস্তকরণ স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে সড়কটি দুই পাশে আরো ছয় ফুট বড় হচ্ছে। সড়ক প্রশস্ত করণের খবরে খুশি স্থানীয়রা।
দীঘিনালা নয়মাইল এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য গণেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা যারা রাস্তার পাশ দিয়ে চলাফেরা করি তখন আতঙ্কে থাকি। কখন গাড়ি এসে মেরে দেয়। ‘রাস্তাটি অত্যন্ত ছোট। বড় কোনো গাড়ি আসলে রাস্তা থেকে নেমে যেতে হয়। এই রাস্তাটি ছোট হওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে যায় বেশিরভাগ। এছাড়া একটা গাড়িকে ক্রস করার মতো জায়গা রাস্তায় নেই। বাঁক ও উচু-নিচু সড়কের কারণে বাঁশ ও কাঠ বোঝাই ট্রাক প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাসও। সড়কটি বড় হলে আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে এবং সবার জন্য ভালো হবে।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সোহানুর রহমান বলেন, ‘খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাজেক পর্যটক কেন্দ্রসহ দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষও এই পথে যাতায়াত করে।’
স্কুলশিক্ষিকা প্রতিভা ত্রিপুরা বলেন, ‘বাচ্চা’কে রাস্তার পাশ দিয়ে স্কুলে নিয়ে আসা যাওয়ার সময় ভয়ে থাকি। রাস্তার প্রশস্ত ছোট। দুইটা গাড়ি আসলে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার বাইরে নেমে যেতে হয়। রাস্তার পাশে হাঁটার রাস্তাও নাই। যদি রাস্তাটা প্রশস্ত বাড়ানো হয় তাহলে রাস্তার পাশ ধরে আমরা সাধারণ পথচারীরা হাঁটতে পারতাম। বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে একটু স্বস্তি পেতাম।’
জীপগাড়ি চালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তাটি অত্যন্ত ছোট। বড় কোনো গাড়ি এলে রাস্তা থেকে নেমে যেতে হয়। এছাড়া একটা গাড়িকে ক্রস করার মতো রাস্তায় জায়গা নেই। বাঁক ও উঁচুনিচু সড়কের কারণে বাঁশ ও কাঠ বোঝায় ট্রাক প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাস্তাটি যদি ৬ ফুট প্রশস্ত করা হয় তাহলে ভালো হয়।’
চাঁন্দের গাড়ি (জিপ) চালক প্রদীপ ত্রিপুরা ও নিমাই দেবনাথ বলেন, ‘১৮ কিলিমিটার সড়কে বাঁক আছে ৬০ এর বেশি। যাতায়াতে সময় লাগে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। সড়কটি বড় করা সময়ের দাবি ছিল। এ সড়কে জেলার অন্যান্য সড়কের তুলনায় কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ বেশি। সড়ক প্রশস্ত করণের কাজ শেষ হলে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের ভোগান্তি দূর হবে। দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা উচিত। ’
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. আসলাম কালু বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে এখন গাড়ির চাপ বেড়েছে। সাধারণত জেলা মহাসড়ক ১৮ ফুট প্রশস্ত থাকার নিয়ম থাকলেও এই সড়কের প্রশস্ততা মাত্র ১২ ফুট। সড়কে অতিরিক্ত বাঁকের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা প্রশস্ত করলে বাঁকের পরিমাণ কমে আসবে। চালকেরা গাড়ি চালিয়ে স্বস্তি পাবেন দুর্ঘটনাও কমে আসবে।’
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। রাস্তাটি দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি অনেক পর্যটকবাহী যানও চলাচল করে। তাই দুর্ঘটনা রোধে জেলা সদরের খাগড়াপুর থেকে দীঘিনালা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করণের আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। রাস্তার কাজও শুরু হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে প্রশস্ত করে মোট রাস্তার প্রশস্ত ১৮ ফুট করা হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে আমরা সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে এতে যানবাহন চলাচলে সাময়িক সুবিধা হতে পারে।’
২০২৬ সালের মার্চে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: সময়