হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আলোচিত কলেজ ছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগ (২২) হত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় আসামি মো. ফারুক ওরফে চেরয়া ফারুককে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১০ এর দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের আলীপুর কবরস্থান এলাকা তাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার গোবিন্দপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার ভাগাভাগি ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে তুরাগকে নৃশংস হত্যা করা হয়। নিহত তুরাগ (২২) ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের অনার্সের ছাত্র ছিলেন।
গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ বিকেলে তুরাগ বাসা থেকে বের হওয়ার পর কা'না তুষার গ্রুপের সদস্যরা কৌশলে তাকে ফরিদপুর সদরের গোবিন্দপুর এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার এক হাত কেটে নেয়। হত্যার পর লাশ গোপন করার জন্য কলার পাতার নিচে চাপা দিয়ে রাখে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ঘটনার পর নিহতের পিতা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩২, তারিখ-১৩/১০/২০২৩)।
মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১০, ঢাকার অধিনায়ক বরাবর একটি অধিযাচনপত্র পাঠান। সেই সূত্রে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের আলীপুর কবরস্থান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এজাহারনামীয় আসামি মো. ফারুক ওরফে চেরয়া ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরুক ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর এলাকার মৃত করিম শেখের ছেলে।
র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।'