শেখ মোঃ আবুল বাসার, অভয়নগর (যশোর): যশোরের অভয়নগর উপজেলার উপর দিয়ে গেছে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ততম রেলপথ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে এ রেলপথ দিয়ে মোংলা বন্দর থেকে সমগ্র উত্তরবঙ্গ, বেলাপোল, ঢাকায় যাতায়াত করে ১২ টি ট্রেন, এছাড়াও মালবাহী ট্রেনের যাতায়াত রয়েছে নিয়মিত।
কিন্তু এ রেলপথের অধিকাংশ রেলক্রসিং গুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বিহীন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেঙ্গল রেলগেট থেকে চেংগুটিয়া পর্যন্ত রয়েছে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের নিজেদের ব্যাবসায়ীক সার্থে গড়ে তোলা অনেক গুলো অবৈধ রেলক্রসিং। তাদের গড়ে তোলা এসব অবৈধ রেলক্রসিং এ রাখেনি নিজস্ব কোন প্রহরী। সম্পুর্ন উন্মুক্ত অবস্থার থাকা এ সব রেলক্রসিং গুলোতে পন্য পরিবহনের জন্য প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক যাতায়াত করতে দেখা যায়।
এর মধ্যে নওয়াপাড়া প্রফেসর পাড়া, আকিজ জুট মিল, বালিয়াডাঙ্গা , ভাংগাগেট ট্রাক টার্মিনাল, আলিপুর, নওয়াপাড়া জুট মিল, ভৈরব সেতু সংযোগ সড়ক রেলক্রসিং গুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব রেলগেটের ভিতর ভৈরব সেতু রেলক্রসিং, নওয়াপাড়া জুট মিল, ভাংগাগেট ট্রাক টার্মিনাল, প্রফেসর পাড়া রেলক্রসিং এ রয়েছে ট্রেন আসার সময় বাশ বা দড়ি দিয়ে যানবাহন আটকানোর জন্য স্থানীয় ভাবে নিয়োজিত গেটম্যান।
এছাড়া অন্য কোন ক্রসিং এ কোন গেটম্যান বা অন্য কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়নি। ফলে এসব উন্মুক্ত রেলক্রসিং দিয়ে যানবাহন এবং সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ব্যস্ততম এলাকা ভৈরব ব্রিজের রেলক্রসিং এলাকার ব্যাবসায়ী আমির হোসেন বলেন , এই গুরুত্বপূর্ণ গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা এই রেলগেটে অস্থায়ীভাবে লোক নিয়োগ করেছে । ট্রেন আসার সময় গেটের এক প্রান্তে বাঁশ ধরে লোক ও যান চলাচল কোনো মতে বন্ধ করা হয়। কিন্তু অপর পাশ খালি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।
আকিজ জুট মিল গেট সংলগ্ন রেলক্রসিং টি সম্পুর্ন উন্মুক্ত। এই ক্রসিং আকিজ জুট মিল ও আকিজ আইডিয়াল স্কুলে যাতায়াত ছাড়া ও এ পথে অনেক ভারী ও হালকা যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ রেলগেটে নেই সামান্য নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ চাদ আহমেদ বলেন, রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত ১৮ কিমি রেলপথে ১২ টি বৈধ রেলক্রসিং এর ভিতর ৮ টিতে গেটম্যান রয়েছে। আমরা অবৈধ ভাবে রেলক্রসিং বন্ধের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি, এবং আমাদের এমন অভিযান চলবে। এছাড়া বেশ কিছু অবৈধ গেটের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। তারপর ও অবৈধ গেটে চলাচলকারীদের সচেতনার জন্য সতর্কতা মুলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।