মো. আদনান হোসেন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। বিএনপিকে নিঃশেষ করতে তিনি গুম, খুন, জুলুম ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।"
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ধামরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের শরীফবাগ শরিফুননেচ্ছা মহিলা মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি এবং তারেক রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ‘অশালীন প্রচারনার’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, “মিথ্যা মামলায় আমাদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস জেল খাটতে হয়েছে। ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, মুগ্ধ নামের এক শিশুকেও গুলি করা হয়েছে শুধু ‘পানি লাগবে’ বলার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম হয়েছে, তার ভিত্তিতেই জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে। যখন সরকার অপপ্রচার চালিয়েছে, তখন বিএনপি আহত ও নিহত পরিবারের পাশে থেকেছে।”
রিজভী দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “কেউ যেন দলের ভেতরে বা বাইরে সহিংস আচরণে না জড়ায়। কেউ দুর্বৃত্তপনা বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এবং যেকোনো খারাপ কাজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহমেদ
সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য গোলাম মাওলা শাহীন
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।