রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিন আসামি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা জবানবন্দি দেন।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়া তিন আসামি হলেন—টিটন গাজী, আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনির। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জবানবন্দিতে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে মাহমুদুল হাসান মহিনের নাম। তার সঙ্গে লাল চাঁদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এর আগে জানান, পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তার ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই লাল চাঁদকে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী একে অপরের পূর্বপরিচিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ৯৯৯–এ কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’—এই স্লোগান দিয়ে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে প্রকাশ্যে লাল চাঁদকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা হয়। এখন পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন: রেজওয়ান উদ্দিন, নান্নু কাজী, সজীব ব্যাপারী, রাজীব ব্যাপারী, টিটন গাজী, মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর ও ছোট মনির। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। উৎস: ইত্তেফাক।