নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। ছাতক উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। গত কয়েক সপ্তাহে ছাতকের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু বোঝাই নৌকা আটক এবং জড়িতদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবুও বেপরোয়া বালু ও পাথর খেকোরা। অভিযানের ধারাবাহিকতায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কালে ৪টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ছাতক উপজেলা প্রশাসন। জব্দকৃত ড্রেজার মেশিন বিকল করা হয়।
মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। অভিযানে ছাতক থানা পুলিশ এবং নোয়াকোট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই পদক্ষেপটি উপজেলাব্যাপী বালু খেকোদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের একটি দৃষ্টান্ত।
স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভাঙন, কৃষি জমি ধ্বংস এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সরকারের এই কঠোর অবস্থান এবং ধারাবাহিক অভিযান নদী ও পরিবেশ রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
ছাতকে এই অভিযান প্রমাণ করে যে, প্রশাসন কোনোভাবেই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেবে না। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখে আসছি, কীভাবে শক্তিশালী চক্র দিন-দুপুরে নদী থেকে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রশাসনের আজকের এই পদক্ষেপে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী আমাদের প্রাণ, আমাদের সম্পদ। কোনো প্রভাবশালী বালু খেকো চক্রকে নদী ও পরিবেশ ধ্বংসের সুযোগ দেওয়া হবে না।