শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১১:১১ দুপুর
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার শেখ মুজিবের সেই ভাস্কর্য ভাঙল ছাত্র-জনতা (ভিডিও)

রাঙামাটি শহরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল লোক ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করে। রাত ৯টা পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলছিল। এটি গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রথমে কয়েকটি বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তাতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে ড্রিল মেশিন, বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ও রডকাটার মেশিন দিয়ে তা ভাঙা হয়। 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে ও সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পাশে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩১ ফুট ও প্রস্থ ১২ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের এ ভাস্কর্য ঢেকে দেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার ভাস্কর্যটি অপসারণ চেয়ে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। তারা জেলা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাফি।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মো. ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা, মো. ইমাম হোসেন, মো. হারুন ইবনে আব্দুল খালেদ, তানিম ইবনে ইয়ম, সায়েদা খাতুন, ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, জুনায়েদুল ইসলাম প্রমুখ। তারা ভাস্কর্য অপসারণে জেলা পরিষদকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় শুক্রবার জুমার পর তারাই এটি ভেঙে ফেলবেন বলে জানান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাস্কর্যটি অপসারণ না করায় গতকাল বিকেল থেকে তা ভাঙতে শুরু করেছেন তারা।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফ্যাসিবাবিরোধী ছাত্র-জনতা ব্যানারে শহরের ভেদভেদী বাজার থেকে ‘মার্চ ফর ফ্যাসিবাদী আইকন’ কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের একপাশে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে বিক্ষোভকারীরা নিজেরাই পাশে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। তারা প্রথমে কয়েকটি বড়  হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে ড্রিল মেশিন ও রড কাটার মেশিন দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙতে থাকেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার সময় জেলা প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে শত শত মানুষ জড়ো হন। অনেকে এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

ঘটনাস্থলে শহরের বাসিন্দা মো. সাউবান, জালাল উদ্দিন, ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, ইমাম হোছাইন ইমু, শহিদুল ইসলাম শাফি, ইমাম হোছাইন কুতুবী উপস্থিত ছিলেন। ইমাম হোছাইন ইমু বলেন, ‘ভাস্কর্যটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। সব গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বাড়ি ফিরব।’

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার খবর শুনেছি। তবে কে বা কারা ভাঙছে, তা জানা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়