শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীতে ২০ দিন পরও উদ্ধার হয়নি অপহরণের শিকার দুই স্কুল ছাত্রী

মোঃ সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে অপহরণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী তাহরিম হারুন ফালাহ (১৫) ও তার ছোট বোন তাছনুবা হারুন তাহা (১২) গত ২০ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবক সাজ্জাদুর রহমান শাওনকে (২০) বৃহস্পতিবার রাতে থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদুর রহমান শাওনকে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে পুলিশ।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার রামানন্দী গ্রামের ফয়েজ মেস্ত্রী বাড়ির নিজ ঘর থেকে অপহরণের শিকার হন ওই দুই বোন। ভিকটিম দুই স্কুল ছাত্রীর মা ফরিদা আক্তার জানান, তাঁর বড় মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ পানা মিয়া টি.এফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ছোট মেয়ে তাছনুবা হারুন তাহা স্থানীয় খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বড় মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে উপজেলার চর বাঞ্চারাম গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান শাওন তার মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তিনি শাওনের দাদা, নানা ও পরিবারের সদস্যদের অবগত করলেও তারা কোন শাসন কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে শাওন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।

তিনি জানান, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমি ঘরের বাহিরে অবস্থানের সুযোগে পূর্বের ঘটনার জের ধরে শাওন ও তার সহপাঠিরা আমার ঘরে ডুকে দুই মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ ও তাছনুবা হারুন তাহাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বহু জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাদেরকে না পেয়ে শাওনের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। পরে ২৯ এপ্রিল সুধারাম মডেল থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারের এই নারী।

ভিকটিমদ্বয়ের মামা ওয়াহিদুর রহমান অপু বলেন, গত ২০দিন ধরে আমার দুটি ভাগনী অপহৃত অবস্থায় রয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশ অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওনের পরিবারের সঙ্গে থানায় বৈঠকও করেছে। কিন্তু কোন সন্ধান বের করতে পারেনি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাওনের পরিবারকে নিয়ে থানায় বৈঠক করলেও আমার ভাগনীদের কোন তথ্য না পাওয়ায় থানা পুলিশ আমার বড়বোন ফরিদা আক্তার থেকে এজাহার গ্রহণ করার পর অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওনকে গ্রেফতার করে।

ভিকটিমদ্বয়ের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, আমার বড় মেয়ে ফালাহ এসএসসি পরীক্ষার ৬টি বিষয় শেষ করে। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে পরের দিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ফালাহ। ওই সময় বখাটে শাওন ও তার সহপাঠীরা আমার বড় মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছোট মেয়েকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। জানি না আমার মেয়েরা কোথায় আছে, কেমন আছে? এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, কিন্তু ঘটনার ২০দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আমার মেয়েদের উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়েদের সন্ধান চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।

সুধারাম মডেল থানার এস.আই ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার ভিকটিমদ্বয়ের মা বাদি হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামী সাজ্জাদুর রহমান শাওনকে গ্রেফতারের পর আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমদের উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়