শিরোনাম
◈ ফেব্রুয়ারি এখন নোংরামির মাসে পরিণত: শায়খ আহমাদুল্লাহর সতর্কবার্তা ◈ দুই কুমিরের মারামারিতে এক কুমির আহত ◈ জয় বাংলা স্লোগান ও তসলিমার বই বিক্রি, বের করে দেওয়া হলো লেখককে ◈ আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের হুঁশিয়ারি ◈ নির্বাচনের কথা শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়: মির্জা আব্বাস  ◈ দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা আবারও তাদের তাগাদা দিয়েছি : মির্জা ফখরুল ◈ অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : মির্জা ফখরুল  ◈ আয়ারল্যান্ডের কাছে জিম্বাবুয়ের পরাজয় ◈ ইতিহাসের পাতায় ব্রিটজকে ◈ সিরাজগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:৪২ দুপুর
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিরকুট আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নান্দাইলবাসীর

 

বাড়ির গেটে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুটে লেখা ছিল ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকা না দেওয়ায় এক দিন পর আরেকটি চিরকুট দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। এতেও কাজ না হলে আবারও চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকিসহ স্ত্রী-সন্তানদের ক্ষতি করার কথা বলা হয়। ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাথপাড়া মহল্লায় ঘটেছে এমন ঘটনা। 

একইভাবে গত ১ অক্টোবর একই মহল্লার সুনীল চন্দ্র বর্মণের বাসার ফটকে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে কে বা কারা চিরকুট ফেলে রেখে যায়। টাকা না দেওয়ায় এক দিন পর এক লাখ টাকা দাবি করে আরেকটি চিরকুট রেখে যায়। এতেও কোনো সাড়া না পেয়ে তৃতীয় চিরকুটে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই গ্রামেরই বন কর্মকর্তা মো. আল-আমিনের বাসাতেও চিরকুট পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে শিক্ষিকা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। 

একের পর এক চিরকুট পাঠানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এরাকাবাসী। অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। যদিও পুলিশ বলছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। স্থানীয়রা জানান, নরসুন্দা নদীর কারণে উপজেলার অন্য এলাকা থেকে এই জায়গাটি প্রায় বিচ্ছিন্ন। তাই স্থানীয়দের মাঝে ভয় কাজ করছে। 

ওই মহল্লার আচারগাঁও উত্তরপাড়ার মোজ্জাম্মেল হক জানান, তার ভগ্নিপতি বন কর্মকর্তা মো. আল-আমিন কর্মস্থল ঢাকায় থাকেন। নান্দাইলের ওই মহল্লার বাড়িতে মোজ্জাম্মেল হকের বোন সালমা বেগম, আড়াই বছরের এক ভাগ্নে ও বোনের শাশুড়ি বসবাস করেন। বোন কাছাকাছি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

এই গ্রামেরই শিক্ষিকা সালমা বেগম গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ফটকে পলিথিন মোড়ানো একটি কাগজ ঝুলতে দেখতে পান। কৌতূহলবশত পলিথিন খুলে ভেতরের হুমকির চিরকুট পাওয়া যায়। কাগজটিতে লেখা ছিল, ‘চাহিদামতো টাকা না পেলে বাড়িতে আগুন জ্বলবে এবং স্ত্রী-সন্তানের ক্ষতি হবে।’ টাকাগুলো বাড়ির কাছে বাঁধা নৌকায় রেখে দিতে বলা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘চিরকুট দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। অনেকে ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।’ আসাদ মিয়া নামে আরেকজন বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই একাধিক চিঠি পেয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ এই কাজটি যারা করছে, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, যারা চিরকুট দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়